মডেল থেকে জঙ্গি খাতায় নাম লেখান মেহেদী হাসান। এরপর ধরা পড়েন র্যাবের হাতে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তৌহিদ, সাজিদ, কামাল ও অপুসহ আরো অন্তত ২০ জন নব্য জেএমবি সদস্যের নাম। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে র্যাব।
তাকে আটকের পর ৪ দিনের রিমান্ডের দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র্যাব-৩ এর পরিচালক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, মেহেদী হাসান নব্য জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিল। তার সঙ্গে বিদেশি মৌলবাদী গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। বিশেষ করে নাশকতার পরিকল্পনা করে বিদেশি টাকায় বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছিল সে।
ব্রিগেড আদ-দার-ই কুতনী’কে শক্তিশালী করতে তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় রয়েছে। ওইসব সদস্যরা নিয়মিতভাবে তাকে অর্থ দিত। যা জঙ্গি কার্যক্রমে ব্যয় হতো।
তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ল্যাপটপে থাকা তথ্যের মাধ্যমে র্যাব জানতে পেরেছে, মেহেদী হাসান ওরফে আবু জিব্রিল নব্য জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হওয়ার চেষ্টা করেছিল। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার সঙ্গে বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
ঢাকা, টাঙ্গাইল ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলায় উদ্বুদ্ধ সদস্যদের মাঝে শপথ (বাইয়্যাত) প্রদান করে সে। ওই শপথ (বাইয়্যাত) এর ভিডিও চিত্র ধারণ করে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে উগ্রবাদী চ্যানেলে প্রচারের মাধ্যমে সহযোগীদের উদ্বুদ্ধ করতো মেহেদী হাসান।