পাইকারির পর এবার গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৯৮ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
মঙ্গলবার সকালে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত গণশুনানিতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। অবশ্য এর বিরোধিতা করে বিদ্যুৎ খাত সংস্কারের প্রক্রিয়ারই পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
গত ২০ মার্চ গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিইআরসিতে জমা দেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সেটার ওপরই আজ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আবাসিকের বিভিন্ন ধাপ ও শিল্প, কৃষিসহ সব খাতের জন্য আলাদা আলাদা দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয় পিডিবির পক্ষ থেকে। গড় করলে ইউনিটপ্রতি যা দাঁড়ায় ৯৮ পয়সা।
এর আগে সোমবার পাইকারি পর্যায়ে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ৭২ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব করে পিডিবি।
পিডিবির মহাব্যবস্থাপক কাউসার আমের আলী বলেন, ‘১৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত যে গ্রাহক শ্রেণি আছে তার ৩২ পারসেন্ট আমাদের গ্রাহক শ্রেণি এই সুবিধা ভোগ করে। এবং তাদের রেট আমরা ৫ টাকা ১৪ পয়সা থেকে ৫ টাকা ৬৯ পয়সা বৃদ্ধি করেছি।’
এই দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে সায় আছে বলে জানালেন বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান।
তবে বর্তমানে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সরকারের নেওয়া বিদ্যুৎ খাত সংস্কার প্রক্রিয়ারই সমালোচনা করা হয় কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বলেন, ‘চলমান জ্বালানি বিদ্যুৎ উন্নয়ন সংস্কার ভোক্তা স্বার্থের পরিপন্থী। আমরা ভুক্তভোগী। এই কথাটি বলার জন্য কারোর সম্মতি বা কারোর অনুমতি নেওয়ার অপেক্ষা রাখে না।’
ক্যাবের হিসাবে যেসব কারণ দেখিয়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে, গরমিল রয়েছে তাতেই।