আমি সুস্থ আছি- এই মর্মে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার চিঠিতে হতভম্ব হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি সচিবালয়ে রবিবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও জানান, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তা দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানের বিষয়। আমরা আশা করি দুদক তা করবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে যে চিঠি প্রধান বিচারপতি প্রকাশ করেছেন সেটি আসলেই তার চিঠি কি না, আমি জানি না। তবে একটা লিখিত জিনিস… আমি অবশ্যই এতে হতভম্ব। অসুস্থতার কথা বলে বিচারপতি এস কে সিনহা চিঠি দিয়েছেন। তখন ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর দরকার ছিল। যেহেতু করা হয় নাই তো এ নিয়ে কিছু বলতে পারবো না।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, অসুস্থতার কথা বর্ণনা করে চিঠি দেয়ার সাত দিন পর প্রধান বিচারপতি আবার জানালেন তিনি সুস্থ। কিন্তু অসুস্থতার কথা বলে তিনি যে চিঠি দিয়েছেন সে তারিখেই দেশ ত্যাগ করেছেন। এ নিয়ে কোনো বিতর্ক হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ ছিল না। যাদের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হাসিল হয় নাই তাদের এ মায়াকান্না।
সম্মেলনের শুরুতে প্রধান বিচারপতির অসুস্থতা নিয়ে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে চালাচালি হওয়া একাধিক চিঠি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পড়ে শোনান। চিঠির উদ্ধৃতি দিয়েই আনিসুল হক বলেন, অবসরের সময় নিকবর্তী হওয়ায় প্রধান বিচারপতি মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। অবসাদ দূর করার জন্যই তিনি এক মাস আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণের মনস্থির করেছেন। প্রধান বিচারপতির এ ছুটির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। আর সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ মেনেই জ্যৈষ্ঠ বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়াকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।