নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেইসবুকে আপত্তিকর পোস্টে শেয়ার করায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর কলেজের শিক্ষক ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক হুদাকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তিনি একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানও ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বেশ কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্টে শেয়ার করেছেন নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন তার ফেইসবুক আইডিতে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিয়েও গালিগালাজের কমতি করেননি। প্রধানমন্ত্রীর বিকৃত ছবি আপলোড করা পোস্টেও তিনি শেয়ার করেছেন। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীরীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বাদি হয়ে সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। পুলিশ হেড কোয়াটারের নির্দেশ পেলেই মামলাটি রেকর্ড করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানা গেছে, আল জাহিদ নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে আপলোড করা পোষ্টে মোদাচ্ছেরুল হক হুদা শেয়ার করে এই অপকর্মগুলি অনায়াসে চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে আপত্তিকর কথা লিখে শেয়ার করছেন। Modasserul Haque Huda নামের আইডি থেকে বিএনপি অনলাইন উইং, বিএনপি সমর্থকগোষ্ঠী, ইরা চৌধুরী আইডি থেকে সরকার বিরোধী ও দেশ বিরোধী আপলোড করা ছবিসহ বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করে আসছেন। সমাজের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসাবে তিনি কেন এ সব অশ্লীলতা চালিয়ে যাচ্ছেন তা কারও বোধগম্য নয়। অনেকে বলছেন, হুদার বেহুদা কারবারের সমুচিত জবাব দেওয়া উচিত। এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ইতিমধ্যে হুদার এ বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে তিনি প্রশাসন থেকে সরকার দলীয় বিভিন্ন নেতাকার্মীদের কাছে নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। তবে, সচেতন মহলের দাবি হুদাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচার করা হোক।
এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষক অধ্যাপক মোদাচ্ছেরুল হক হুদা জানান, আমি অনেক সময় কলেজে ক্লাস নেয়ার সময় মোবাইল ফোনটি অফিস রুমে রেখে যায়। এ সময় কেউ আমার মোবাইল ফোন থেকে শেয়ার করেছে কিনা তা আমি বলতে পারবোনা।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, পৌর আওয়ামীরীগের সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বাদী হয়ে শনিবার রাতেই সদর থানায় বিএনপি নেতা হুদার বিরুদ্ধে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশ পেলেই এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে।