ঘাসের পরিবর্তে ফলমূল-মিষ্টি খেয়ে পালিত হচ্চে একটি গরু। কেউ ডাকে মহাদেব আবার কেউ ডাকে সম্রাট নামে। গৃহপালিত পশুকে ভালোবেসে আদুরে নামে ডাকা নতুন কিছু নয়। কিন্তু মহাদেবের ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। মহাদেব গৃহপালিত পশু নয়। গৃহের বাইরে তার বসবাস। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর তীরে কাল ভৈরব নাদ মন্দিরে তার জন্ম। জন্ম থেকেই গৃহবঞ্চিত সে।
কেবল গৃহপালিত নয় বলেই মহাদেব ব্যতিক্রম, তা নয়। গবাদিপশুর সাধারণ খাদ্যাভ্যাসের চেয়ে আলাদা খাদ্যাভ্যাস মহাদেবের। ঘাস নয়- চাল, চিড়া, মিষ্টি ও ফলমূল খেয়ে থাকে সে। আর সারাদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরজুড়ে বিচরণ করে সে। বীরদর্পে ঘুড়ে বেড়ায় শহরের অলিগলি। কপালে রাজটিকা থাকা, মন্দিরে বসবাস ও ব্যতিক্রমী ভঙ্গির জন্য গুরুটিকে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মাহাদেব নামে ডাকে। মাহাদেবের মতই ভক্তি-পূজাও করে তারা।
মহাদেব সম্পর্কে স্থানীয়রা বলেন, মহাদেব প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে এসে তার জন্য রাখা খাবার খেয়ে আবার মন্দিরে ফিরে যায়।শিবচতুর্দশী সময় তিতাস নদীর তীরে কাল ভৈরব নাদ মন্দিরে গরুটির জন্ম। মন্দির কতৃপক্ষ দাবি দাওয়া ছেড়ে দেওয়ায় বাঁধন মুক্ত হয়ে শহরে বেড়ে ওঠা তার। বীরদর্পে বেড়ে ওঠা তরতাজা মহাদেবের দিকে কয়েকবার এলাকার দুষ্টু লোকের নজর পড়েলেও মানুষের ভালবাসায় নিরাপদেই আছে সে।