শাকিলা ইসলাম জুঁই : জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের একটানা এই ৮ বছরে সাতক্ষীরায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা স্বাধীনতার পরবর্তী ৪০ বছরে বিগত সরকারের সময়ে আগে কোন দিন সাতক্ষীরায় হয়নি। আর এসব উন্নয়নের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য সেবা দানকারি সরকারি প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। যেটি স্থাপিত হয়েছে সাতক্ষীরা শহরের উপকন্ঠে বাকাল ব্রিজ এলাকায়। আর এই প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মূল উদ্যোক্তা দক্ষিণবঙ্গের কৃতিসন্তান সাতক্ষীরা-৩ আসনের এমপি দেশবরেণ্য শৈল চিকিৎসক ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক। তিনি নবম জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সফল মন্ত্রী থাকাকালীন অবস্থায় তার একক প্রচেষ্ঠায় ও বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত আগ্রহে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুধু মেডিকেল কলেজ নয় সাতক্ষীরা ৫০ শয্যা সদর হাসপাতালকে উন্নয়ত করে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রুপান্তির করেছন রুহুল হক এমপি। সাতটি উপজেলা কমপ্লেক্সকে অবকাঠামো উন্নয়নসহ নতুন নতুন অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জম দিয়ে সাতক্ষীরার ২২ লক্ষ মানুষের চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়ন করেছেন ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক। সাতক্ষীরায় সবচেয়ে রাজস্ব দানকারী প্রতিষ্ঠান ভোমরা স্থল বন্দর। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ভোমরা সুল্ক স্টেশনটি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রুপান্তরিত করেছে পূর্ণাঙ্গ বন্দরে। যার ফলে দক্ষিণবঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের দোয়ার খুলে গেছে। এখান থেকে সরকার প্রতিবছর ৩’শ থেকে ৪’শ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছেন। এছাড়া শত শত ব্যবসায়ী ও স্থানীয়ভাবে ৫থেকে ৬ হাজার শ্রমিকের আত্মকর্মসংস্থান হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরকে জানজট মুক্ত করতে ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাইপাস সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। যেটি মেডিকেল কলেজ থেকে কাশেমপুর লাবসা হয়ে বিনেরপোতা বিসিক শিল্পনগরীর সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে গিয়ে মিশেছে। এই বাইপাস সড়টি নির্মাণের ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান ও ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক এমপির প্রচেষ্টায় কাজটি খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি তার নির্বাচনী এলাকা দেবহাটা-কালিগঞ্জ ও আশাশুনিতে রাস্তা-ঘাট-ব্রিজ, কালভাট, অডিটোরিয়াম, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ, সাইক্লোন সেল্টার নির্মান, কপোতক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ সংস্কারসহ শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন। এলাকার বেকার শিক্ষিত যুবকদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতরে চাকরি দিয়ে তাদের বেকারত্ব দুর করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন উপকুলীয় উপজেলা আশাশুনির খাজরা, প্রতাপনগর, শ্রীউলা, খাজরারসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের ঝড় জলোচ্ছাস থেকে আশ্রয় নেওয়ার জন্য তৈরি করেছেন সাইক্লোন সেল্টার। আশাশুনিতে তৈরি করেছেন ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন দেশ বরণ্য ক্রিকেটার সৈম্য সরকারের গ্রামের বাড়ি। একই সাথে আলোকিত করেছেন গাবতলা, মহিষাডাঙ্গা, বাইনতলা,বলাবাড়িয়া,পুইজালাসহ বহু গ্রাম। যে সমস্ত গ্রামে স্বাধীনতার পরবর্তী ৪০ বছরের মধ্যে অন্যকোন সরকারের আমলে বিদ্যুতের আলো পৌছায়নি। এছাড়া কাটাকাটি ইউনিয়নের মরিচচাপ নদীর উপর তেঁতুলিয়া ব্রিজ, খোলপেটুয়া নদীর উপর মানিকখালি ব্রিজ নির্মান করেছেন। এছাড়া বড়দলে কপোতাক্ষ নদের উপর নির্মিত ব্রিজের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে অল্প সময়ের মধ্যে এসমস্ত ব্রিজ নির্মাণ করে দক্ষিনের দুর্গম এলাকাকে জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের সেতু বন্ধন হিসাবে গড়ে তুলে শেখ হাসিনার সরকারকে আশাশুনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারন মানুষের কাছে মাথা উচুকরে দাঁড়াবার প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলির অন্যতম সদস্য ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক এমপি। বর্তমানে তিনি তথ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত মন্ত্রনালয়ের সংসদিয় কমিটির সভাপতির দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
এদিকে ঘোলা হতে আশাশুনি সড়কের কাপেটিং এর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কালিগঞ্জের চম্পাফুল ও আশাশুনির দরগাপুরে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতাল নির্মাণ করে মানব সেবার নতুন দিগন্ত উন্মচিত করেছেন। যা আগে কখনো দক্ষিণের উপজেলা আশাশুনি-কালিগঞ্জের মানুষ মানব কল্যাণের এই দৃষ্টান্ত মা ও শিশুদের এই হাসপাতালের কথা কল্পনা করতে পারেনি। প্রফেসর ডা. রুহুল হক শুধু স্বাস্থ্য সেবা, ব্রিজ-কলভার্ট, রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন কেরে ক্ষ্যান্ত হননি। আশাশুনি কলেজকে সরকারি করণসহ বহুতল ভবন নির্মাণ করে শিক্ষাখাতের প্রসার ঘটিয়েছেন। এছাড়া কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় অডিটোরিয়াম নির্মাণ করেছেন, গড়ে তুলেছেন ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, মেডিকেল এ্যন্সিস্ট্যান্ট ট্রেনিংস্কুল, শিক্ষার্থীদের হোস্টেল, অফিসার্স কোয়াটার। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল, কলেজ নির্মাণসহ অসখ্য প্রতিষ্ঠানের অবকাঠানো নির্মাণ কাজ করেছেন। এছাড়া মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজ করে রুহুল হক নিজ এলাকার মানুষের কাছে উন্নয়নের ভাগ্য দেবতা হিসাবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। যে কারণে ডা: আ. ফ. ম রুহুল হক এমপিকে আবার মন্ত্রী হিসাবে দেখতে চায় সাতক্ষীরার আপামর জনগণ। সে কারণে আগামী সংসদ নির্বাচনে আবারও দলীয় মনোনয়ন দিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন সাতক্ষীরা জেলার মানুষ।