ডেস্ক রিপোর্ট : আওয়ামী তরুণ লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে স্বীকৃত অঙ্গ-সহযোগীর সংগঠন নয় এটি। আ ’লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বীকৃত অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বাইরে বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে একাধিকাবর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার কারণও আছে বৈকি। সাতক্ষীরায় তরুণ লীগ নিয়ে একের পর এক নাটক চলে আসছে। কেন্দ্র থেকেই প্যাডের উপর কমিটি দেয়া হয়, কোন ধরনের গণতান্ত্রিকতার বালাই নেই! পেন্ডুলামের মত দোলে এর পদে থাকা চেয়ারগুলো! এর বাইরে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বিশেষ সুবিধা নিয়ে কমিটি ভাঙা-গড়ার খেলার।
এরই ধারাবাহিকতার আবারও বিলুপ্ত করা হয়েছে সাতক্ষীরা জেলা তরুণ লীগের কমিটি! এধরনের ঘটনায় বাংলাদেশ আ ’লীগ ও এর স্বীকৃত অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনেকেই এধরনের কার্যকলাপ বন্ধে আ ’লীগ সভানেত্রী প্রশানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সম্প্রতি আ’লীগের নাম ব্যবহার করা ভুঁইফোঁড় সংগঠনের ‘দোকান-ব্যবসা’ বন্ধের আহ্বান জানান দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি তরুণ লীগের নাম উচ্চারণ করে এটিসহ অসংখ্য ভূঁইফোড় সংগঠনের কথা বলেন।
তিনি বলেন, এসব সংগঠন আওয়ামী লীগের সুনাম নষ্ট করছে। এসব প্রতিষ্ঠান জনগণের কাছে, পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে কিছু কিছু দোকান খোলা হচ্ছে। এই দোকানগুলো বন্ধ করা দরকার। এসব দোকান বন্ধ করতে হবে। এখানে আসতে আসতে অনেক জায়গায় দেখলাম আওয়ামী প্রচার লীগ। আরেক জায়গায় দেখলাম আওয়ামী প্রজন্ম লীগ। তরুণ লীগ, আর যে কত নাম আছে, জানি না। এই দোকান; আমরা স্বীকৃতি দেবো না। আওয়ামী লীগের যে কয়টি স্বীকৃত সহযোগী সংগঠন আছে- তার বাইরে অন্য কোনো সংগঠন বঙ্গবন্ধুর ছবি, নেত্রীর ছবি, জয়ের ছবি এবং আমাদের নেতাদের ছবি ব্যবহার করলে; এদেরকে প্রতিরোধ করুন’।
‘এসব দোকানের ব্যবসা চলবে না। এরা দোকান খোলে চাঁদাবাজি করে। একটা দিবস আসে, আর এদের চাঁদাবাজির উৎসব শুরু হয়ে যায়। এদের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। এসব দোকানের কোনো আদর্শ ও রাজনীতির লক্ষ্য নেই। এদের লক্ষ্য হচ্ছে, টেলিভিশনে ছবি তোলা, আর চাঁদাবাজি করা।’
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দাওয়াত দিলেই চলে যাবেন না। এসব ব্যাঙের ছাতার মতো অজানা-অচেনা সংগঠনকে মদদ দেবেন না।’
এদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে আওয়ামী তরণলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার কমিটি আবারও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার ২৫ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ (২য় তলা) বাংলাদেশ আওয়ামী তরুণলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভার সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবলু এবং সাধারণ সম্পাদক জি এম শফিউল¬াহ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা কমিটি আওয়ামী তরুণলীগের কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না বলেও উল্লে¬খ করা হয়। সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবলু এবং সাধারণ সম্পাদক জি এম শফিউল¬াহ উপস্থিত ছিলেন বলে প্রেস রিলিজে দাবি করা হয়েছে।