লক্ষ্যমাত্রাটা খুব বড় ছিল না। ১৩৭ রান করে জেতাটা খুব কঠিন কিছু নয়। তারপরও ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের প্রত্যাশা নিশ্চয়ই ছিল তাঁর বোলারদের ওপর আদিল রশিদ, সাকলাইন সজীব, মোহাম্মদ শহীদ ও তিনি নিজে—বোলিং শক্তিটা তো হেলাফেলার ছিল না তাঁদের। কিন্তু ঘরের মাঠে সিলেটের দুই ওপেনার রীতিমতো অপ্রতিরোধ্যই হয়ে উঠলেন। উপুল থারাঙ্গা ও আন্দ্রে ফ্লেচারের ১২৫ রানের জুটি ম্যাচটাকে একেবারেই একপেশে বানিয়ে দিয়েছে। বিপিএলের পঞ্চম আসরের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর বিপিএলের অভিষেকেই বাজিমাত করল সিলেট সিক্সারস।
১৩৭ রানের লক্ষ্যে এই দুই ওপেনারের কৌশলটাও ছিল দারুণ। ব্যাটকে খড়্গ বানিয়ে কচুকাটা করেছেন ফ্লেচার। আর ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে একটু একটু করে সাকিব-রশিদদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন থারাঙ্গা। জয় থেকে মাত্র ১২ রান দূরে থাকতে ৬৩ রান করা ফ্লেচারকে ফিরিয়েছেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। সাব্বির রহমানকে নিয়ে বাকি পথ নিশ্চিন্তে পাড়ি দিয়েছেন এই লঙ্কান ব্যাটসম্যান। অপরাজিত ছিলেন ৬৯ রানে।
এর আগে স্বাগতিকদের বোলিং নৈপুণ্যে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাঙ্গাকারা আর এভিন লুইসই, যা একটু প্রতিরোধ গড়েছিলেন। ৫৪ রানের জুটি গড়ে নাসির হোসেনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন লুইস, আউট হয়েছেন ২৬ রানে। দুই ওভার পর বল হাতে নিয়ে পথের কাঁটা হয়ে থাকা সাঙ্গাকে ৩২ রানেই থামিয়েছেন প্লাঙ্কেট। কাইরন পোলার্ডের সঙ্গে সাকিবের ২২ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু আবুল হাসানকে তুলে মারতে গিয়ে হাত থেকে ব্যাট ছুটে গিয়েছিল পোলার্ডের, বাউন্ডারিতে ক্যাচ ধরেছেন সেই নাসির হোসেনই। এরপর বাউন্ডারি বের করতে গিয়ে সাব্বিরের ক্যাচ হয়ে আউট হয়েছেন জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, করেছেন ২৩ রান।
ইনিংসে সিলেটের সেরা বোলার অধিনায়ক নাসির। ৪ ওভার বোলিং করে ২১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। পাওয়ার প্লেতে বোলিং করেও দিয়েছেন ১৪টি ডট বল। প্রায় একই বোলিং ফিগার প্লাঙ্কেটের। তাঁর ডট বল ১০টি, দিয়েছেন ২০ রান। ২ উইকেট নিয়েছেন আবুল হাসানও। পুরো ইনিংসে মাত্র ১২টি বাউন্ডারি হয়েছে সিলেট সিক্সারসের বিপক্ষে।