দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতিমুক্ত নয় বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)। এ ছাড়া সংস্থাটি সবক্ষেত্রে প্রভাবমুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে কাজও করতে পারে না বলেও জানানো হয়।
রোববার ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক পরিচালিত গণশুনানি ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলনে। ঢাকায় ধানমণ্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টিআইবির গবেষণায় উঠে এসেছে ব্যাংকিং সেক্টর, রিয়েল এস্টেট কোম্পানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাবমুক্ত হয়ে দুদক সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে- এমনটা বলা যাবে না। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে পারছে না দুদক।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যে অভিযোগগুলো আমরা দুদকের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবসহ পরামর্শ দিয়ে থাকি, সেগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা হয়, কিন্তু সার্বিকভাবে হয় না। এমন একটা পর্যায়ে দুদক দুর্ভাগ্যক্রমে যেতে পারেনি যে, দুদককে সম্পূর্ণ ক্লিন একটা প্রতিষ্ঠান, সেটা বলা যাবে না। তবে সেদিকে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে সে সম্বন্ধে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরো বলেন, ‘মানুষ যার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আসছে বা নিয়ে আসবে বলে সম্ভাবনা সৃষ্টি করা হয়েছে তিনি যদি আবার বিচারকের আসনে বসেন, তিনি নিজে এবং নিজের অধীনস্তদের একাংশকে সুরক্ষা করার চেষ্টা করবেন। এ প্রবণতা হওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক না।’
২০১৪ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দুদককে দুর্নীতি প্রতিরোধে গণশুনানি করার আদেশ জারি করে। পরে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সংস্থাটি ৩৫টি শুনানি করে। ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত ১৭টি শুনানির কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা চালায় টিআইবি।