টি-টোয়েন্টি দূরে থাক, ওয়ানডেতেও উপেক্ষিত মুমিনুল হক! দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সীমিত ওভারের দলে থাকলেও খেলা হয়নি তার। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে শুধুই টেস্ট পরিকল্পনা বাংলাদেশের। অথচ টি-টোয়েন্টিতেও যে তিনি কতটা কার্যকর, সেটা গতবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেই (বিপিএল) প্রমাণ দিয়েছিলেন তিনি। দিলেন আরেকবার। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়েই উড়ে গেল রংপুর রাইডার্স। ওপেনিংয়ে নেমে তিনি করলেন অপরাজিত ৬৩ রান। যাতে রাজশাহী কিংস ৮ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফির রংপুরকে।
কাজটা আগেই সহজ করে দিয়েছিলেন রাজশাহীর বোলাররা রংপুরকে মাত্র ১৩৪ রানে আটকে রেখে। যে লক্ষ্যটা মুমিনুল ও লেন্ডল সিমন্সের হাফসেঞ্চুরিতে ২০ বল হাতে রেখে ২ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় রাজশাহী।
ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে না পারায় জিততে হলে রংপুরের বোলিংয়ে লাগতো দুর্দান্ত শুরু। তা তো পারেইনি, উল্টো মুমিনুল ও সিমন্স মিলে কোনও সুযোগ দেয়নি তাদের। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে তারা বাড়িয়ে নিয়েছেন দলের রান। গোটা ইনিংসে জয়ের কোনও সম্ভাবনাই তৈরি করে পারেনি মাশরাফিরা। শেষদিকে সিমন্স ও ম্যালকন ওয়ালারকে (৪) দ্রুত ফেরালেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে তাদের।
উদ্বোধনী জুটিতে মুমিনুল-সিমন্স যোগ করেন ১২২ রান। হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে সিমন্স যখন আউট হলেন, তখন জয়ের জন্য রাজশাহীর দরকার মাত্র ১৩ রান। রান আউট হয়ে ফেরার আগে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান ৫০ বলে খেলে যান ৫৩ রানের ইনিংস, যাতে ছিল ৪টি চার ও একটি ছক্কার মার। আউট করতে পারেনি অবশ্য মুমিনুলকে। ৪৪ বলে ৬৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে জিতে তবেই মাঠ ছেড়েছেন এই ব্যাটসম্যান। দুর্দান্ত ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায়। তার সঙ্গে জয় নিশ্চিত করা রনি তালুকদার ৪ বলে করেন ১০ রান।