আরাফাত আলী কালিগঞ্জঃ তারালী ইউনিয়নের সেমত আলী গাজীর ছোট ছেলে আরিজূল গুনিন (৩০) সর্বরোগের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে।কোন সার্টিফিকেট না থাকলেও প্রতিদিন শত-শত মানুষ আসে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে হারিয়ে যাওয়া জিনিষের সন্ধান জানতে ও জ্বীনে পাওয়া রোগীর চিকিৎসা জন্য আসে আরিজুল গুনিনের বাড়িতে। রোগীদের গুনিন দেখানোর জন্য এবং কোন বিষয় জানার জন্য গুনিনকে দিতে হয় দশ টাকা করে, এর পর ৩০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত রোগের চিকিৎসা বাবদ খরচ দিতে হয় আরিজুল গুনিনকে। সর্বরোগের ঔষধ হিসাবে রোগীদের দিয়ে থাকেন গাছের শিকর ও তদবীর, সর্বরোগের জন্য একই গাছের শিকড় খাইতে দেওয়া হয় রোগীদের, এবং তদবীর খাওয়ানো হয় ব্যাংঙকে এবং বেঁধে দেওয়া হয় পাখির পায়ে। জ্বীনে ধরা রোগীদের তদবীর এবং পানি ও তেল পড়া ব্যাবহারের জন্য দেওয়া হয়। শুধুই এলাকার মানুষই নই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রোগের চিকিৎসা এবং বিভিন্ন সমাস্যা সমাধানের জন্য দুর-দুরন্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন আরিজুল গুনিনের কাছে। সরেজমিনে যেয়ে দেখাযায় শতশত রোগী সিরায়াল দিয়ে বসে আছে গুনিন দেখানোর জন্য,আরিজুল গুনিনের এখানে এসে রোগীদের কোন উপকার হচ্ছে কিনা রোগীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে অনেকে বলেন নতুন এসেছি, অনেকে বলেন তিন থেকে চার বার এসেও কোন লাভ হয়নি,আবার কয়েক জন বলেন আরিজুল গুনিনের জ্বীনের মাধ্যমে পাওয়া ঔষধ অনেক ভাল আমারা খেয়ে বড়ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছি। আরিজুল গুনিনের কাছে তার চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে জ্বীনের মাধ্যমে সবার মঙ্গলের জন্য সর্বরোগের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি, সপ্নে পাওয়া এই গাছের শিকড় সর্বরোগের ঔষধ। রোগী দেখলেই জ্বীনের মাধ্যমে আয়না দেখে আমি বলে দিতে পারি কার কি রোগ হয়েছে। কারও কোন জিনিষ হারিয়ে গেলে আমি বলে দিতে পারি সে জিনিষটা কোথায় হারিয়ে গেছে। কেউ চুরি করে নিয়ে গেলেও আমি জ্বীনের মাধ্যমে বলে দিতে পারি জিনিষটা কে চুরি করেছে এবং কোথায় আছে। তারালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক ছোট বলেন আমি জানি জ্বীনের মাধ্যমে আরিজূল সর্বরোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকে তবে আমার কাছে কেউ কোনদিন কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি বা আমি কোন দিন কোন রোগের বিষয় নিয়ে তার কাছে যায়নি এজন্য আরিজূল ভাল কি ভুয়া গুনিন আমি বলতে পারবনা,কিন্তু জ্বিনের দ¦ারা চিকিৎসা আমার বিশ্বাস হয়না। এলাকাবাসী আহম্মদ আলী সহ কয়েকজন বলেন দীর্ঘদীন ধরে জ্বীনের মাধ্যমে সর্বরোগের চিকিৎসার নাম করে সরলও সহজ মানুষের থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আরিজুল গুনিন,একই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শেখ গোলাম হোসেন বলেন আমার ভেঁড়া হারিয়ে গেলে কোথায় আছে জ্বীনের মাধ্যমে জেনে বলে দিবে বলে বেশ কিছু টাকা নিলেও ঠিক করে বলতে পারেনি ভেঁড়া কোথায় আছে। মানুষের সাথে প্রতারণা ছারা আর কিছুই করছে না আরিজূল গুনিন এমনটাই দাবী এলাকাবাসীর।