শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া বড়কুপট এলাকার খোলপেটুয়া নদী থেকে ব্যবসায়ী জামান এর লোকজন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কালে জেলা প্রশাসকের নির্দ্দেশে শ্যামনগর ইউএনও ড্রেজার মেশিন সহ বালু উত্তোলনের ৪টি ট্রলার আটক করে নওয়াবেঁকী খেয়া ঘাটে নিয়ে আসে। আটকের সময় ট্রলার মালিকগণ নদী সাতরিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় বাসার মেম্বর এর সহযোগিতায় ইউএনও ট্রলার মালিকগণের মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেন। স্থানীয় বাসার মেম্বর ও এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান এর উপস্থিতিতে জানান, নওয়াবেঁকী ব্যবসায়ী জামান তার এক কর্মচারী রমজান আলীর নামে পাতাখালীর চর ইজারা নিয়ে মেম্বরের বাড়ির সামনে বড়কুপট খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে জামান ট্রেডিং ব্রিকস এর সামনে নদীর চরে সবুজ বনায়নের মধ্যে স্থুপ্ত করে বিক্রি করে আসছে। বালু উত্তোলন কারি ট্রলার মালিকরা স্বীকার করলেও ইউএনও উক্ত বালি জব্দ না করে জেলা প্রশাসক বরাবর রিপোর্ট দেবেন বলে জানান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও নদীর চরে গাছ কেটে বালু স্তুপের বিষয়ে জামানের ম্যানেজার খোকন ও কর্মচারী রমজান এর নিকট জিজ্ঞাসা করলে, তারা জানান, নদীর চরে বালু রাখার জন্য আবেদন করেছি ও নদীর চরে বনায়ন করার অনুমতি পেয়েছি। কিন্তু কিছু দেখাতে পারেনি। ইউএনও বলেন, নদীর চরে বনায়নের অনুমতি পেয়ে বনায়ন না করে বালুর ব্যবসা হাকিয়ে দিয়েছেন। তিনি আর কোন বালু বা ইট না রাখার জন্য জামানের ম্যানেজারকে নির্দ্দেশ দিয়েছেন। সাথে সাথে তিনি উক্ত এলাকা মাপ জরিপের জন্য আগামী ২৫ নভেম্বর নির্ধারন করেছেন। উক্ত দিনে অবৈধ দখলকারীদের কাগজপত্রাদিসহ এবং স্থানীয় জন প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও এলাকাবাসীকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন। অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন জানান, যেহেতু তাহাদের মালিকের নামে ইজারা রয়েছে সেহেতু অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের মুচলেকার মাধ্যমে এবার ক্ষমা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।