নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় পিতার দ্বিতীয় স্ত্রী পরিচয়ে কুচক্রী সালমা খাতুন কর্তৃক একাধিক অভিযোগ ও মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছেন শহরের পলাশপোল এলাকার মোঃ সাইদুর রহমান মুকুল এর ছেলে মোঃ ইমরান হাসান তুহিন।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ সেমিস্টারে ছাত্র। বাবা সাইদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকায় মা বিউটি পারভীন আমার বোনকে নিয়ে সাতক্ষীরায় থাকে। এমতাবস্থায় গত রমজান মাসে রাজারবাগান এলাকার মৃতঃ গোলাম ওয়াহেদ সরদারের মেয়ে সালমা খাতুন আমাদের বাড়িতে গিয়ে একটি কাবিন নামা দেখিয়ে আমারা বাবার সাথে তার বিয়ে হয়েছে বলে দাবি করে। এসময় সে বলে, তোমার বাবাকে যোগাযোগ করতে বলো, নইলে মিথ্যা মামলা ও পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দিয়ে চলে যায়। সালমার বিয়ের কথা বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এরপর সালমা নিজে ও তার আতœীয়দের দিয়ে সদর থানা, পৌরসভাসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার ও মায়ের নামে একাধিক মিথ্যা অভিযোগ করে। বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশ সদস্যরা আমাদের বাড়িতে যাওয়ায় কারণে আমার মা ও বোন ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছে। সালমা খাতুনের এধরনের হয়রানির কারণে তারা মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একই সাথে আমার ভবিষ্যত জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আমি আশংকা করছি।
তিনি আরো বলেন, ২৫ জুলাই সালমা খাতুন বাবা মুকুল, মা বিউটি ও আমার নামে সাতক্ষীরা আমলী আদালতে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করলে বিচারক শুধুমাত্র বাবার নামে সমন জারি করেন। এতে সালমা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং মা ও আমাকে পুলিশ দিয়ে নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারের ভয় দেখানোসহ আমাকে হত্যার হুমকি দিতে শুরু করেছে। এঘটনায় আমাদের নিরাপত্তা চেয়ে মা বিউটি পারভীন সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, উক্ত সালমা খাতুন নিজেকে আমার বাবার স্ত্রী দাবি করলেও ইসতিয়াক আহমেদ পরাগের সাথে স্বামী-স্ত্রী রুপে ঘর সংসার করছেন। ইসতিয়াকের ঔরসে তার ২টি সন্তানও রয়েছে। এছাড়া বাবার সাথে কথিত বিয়ের কাবিনে ২৩/২/১৫ তারিখ দেখালেও তার ৪ মাস পর ২৯/৬/১৫ তারিখে বেকার পুর্নবাসন সংস্থার নির্বাচনে সালমা খাতুন তার স্বামীর নামের স্থানে পরাগের নাম দিয়েছিলেন। এছাড়া ১০ নভেম্বর সালমার বসভবন থেকে তার স্বামী পরাগকে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। একজন নারী একই সাথে কিভাবে ২ জন ব্যক্তিকে স্বামী হিসাবে দাবি করতে পারেন এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমার বাবা যদি অন্যায় করে থাকেন তার শাস্তি তিনি ভোগ করবেন। কিন্তু আমি এবং আমার অসহায় মা ও বোন কেন এর দায়ভার নেব, কেন আমাদের হয়রানি করা হবে? তিনি উক্ত সালমার হাত থেকে রক্ষা পেতে ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সালমা খাতুনের হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে সংবাদ সম্মেলন
পূর্ববর্তী পোস্ট