নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শুভদ্রাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অবিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা মওদুদা খাতুন বাদি হয়ে ধর্ষক মাসুদুজ্জামান সুমন ও তার বন্ধু সুজনের নামে বৃহস্পতিবার আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় শুভদ্রাকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ধর্ষিতাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে ধর্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না করার জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের শুভদ্রাকাটি গ্রামের আবু ঈশার মেয়ে শুভদ্রাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে পুকুরের হাত মুখ পরিষ্কার করতে যায়। এসময় একই গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে লম্পট মাসুদুজ্জামান সুমন (১৮) তার বন্ধু আবু সাদেক গাজীর ছেলে সুজনের সহযোগিতায় তাকে ধরে পাশের বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। তার আত্মচিৎকারে গ্রাসবাসী ছুটে এলে সুমন ও সুজন পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ঘটনার পরের দিন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সদর হাসপাতলের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিস) এর সহায়তায় তাকে চিকিৎিসা সেবা দেয়া হয়। কিন্তু রক্তক্ষরনসহ তার শরীরের ক্ষত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি ও থানায় মামলা না করার জন্য ধর্ষক ও তার লোকজন ধর্ষীতার পরিবারের সদস্যদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আবু ঈশা। তিনি এঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা মওদুদা খাতুন বাদি হয়ে থানায় ধর্ষক মাসুদুজ্জামান সুমন ও তার বন্ধু সুজনের একটি মামলা দায়ের করেছন। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে তিনি জানান।
পূর্ববর্তী পোস্ট