নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় স্থানীয় জাতবৈচিত্র্য ও বীজ সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নেন নেপালের পারমাকালচারের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট এগ্রোইকোলজি লার্নিং সেন্টারে শাপলা নারী উন্নয়ন সংগঠন এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
অংশগ্রহণকারীরা জাতীয় কৃষিপদকপ্রাপ্ত কৃষাণী অল্পনা রানীর গবেষণাধীন ধানের প্লট, স্থানীয় ১৬৪ জাতের ধান, ২৪ প্রকার শিম, ১২ প্রকার ঝাল, ১০ প্রকার ডাঁটাশাক, ৫ প্রকার লাউ, ২৬ প্রকার অচাষকৃত শাক সবজি, ৫ প্রকার বেগুন, ঝিঙা, তরুল, পুইশাক, উচ্ছে, পেপেসহ প্রায় ৪০০ প্রকারের স্থানীয় বীজ পরিদর্শন ও হাতে কলমে বীজ সংরক্ষণের বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
এসময় পারমাকালচার প্রতিনিধি দলের সদস্য দিল মায়া গুরুং বলেন, আমি ৩০ বছর ধরে নেপালের পাহাড়ি এলাকায় পিছিয়ে পড়া নারী ও জলবায়ু পরিবর্তনে টিকে থাকার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসছি। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও নেপালের পাহাড়ি এলাকায় একেবারেই ভিন্ন পরিবেশ।
এসময় তিনি একটি নেপালী সংগীতের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঋতু ও স্থানীয় বীজ বৈচিত্র্যের বিলুপ্তি, ক্ষতিকর কীটনাশকের প্রভাব ও তার সাথে প্রকৃতির আন্তঃসম্পর্ক তুলে ধরেন এবং প্রাণ প্রকৃতির সাথে কৃষকের নিবিড় সম্পর্কের কথা জানান।
এসময় স্থানীয় সূর্যমুখী নারী উন্নয়ন সংগঠনের সভানেত্রী মিতা রানী তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ধুমঘাট এগ্রোইকোলজি লার্নিং সেন্টার থেকে আমরা বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, বীজ সংরক্ষণ, প্রাণিসম্পদ পালন, প্লাস্টিকের পুনঃব্যবহার, ভার্মি কম্পোস্ট ও অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারি এবং আমরা বাড়িতেও বসত ভিটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে জাত বৈচিত্র্য সুরক্ষিত করার চেষ্টা করছি।
শাপলা নারী উন্নয়ন সংগঠনের সভানেত্রী অল্পনা রানী মিস্ত্রির সভাপতিত্বে ও বরষা গাইনের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের শিক্ষা, সংস্কৃতি, বৈচিত্র্য ও নগর বিভাগের সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম। এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন বারসিক এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, কর্মসূচি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ মন্ডল, মারুফ হোসেন প্রমুখ। #

