শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিবাহ বিচ্ছেদ ঠেকাতে ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। খুব শিগগিরই তারা সংসার রক্ষার জন্য বৈঠকে বসবে।
নগর কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ওই বৈঠকে তাদের এই বিচ্ছেদ ঠেকাতে শেষ চেষ্টা চালানো হবে বলে জানা গেছে।
সালিশের জন্য খুব শিগগিরই শাকিব খানের কাছে বিয়ের কাবিননামা চেয়ে নোটিশ পাঠাবে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। নোটিশ হাতে পৌঁছানোর পর দুই তারকার পরিবারের অভিভাবকদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসবে কর্মকর্তারা।
ডিএনসিসি সূত্র জানায়, শাকিব খানের নামে সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর একটি তালাকনামার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই নোটিশের সূত্র ধরেই তাদের সংসার টিকানোর চেষ্টা করছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ।
ডিএনসিসি মেয়রের সহকারী সৈয়দ আবু সালেহ বলেন, সাকিব-অপুর ঘরে একটি ফুঁটফুঁটে সন্তান রয়েছে। তাছাড়া মানবিক কারণে দেশের প্রখ্যাত এই দুই তারকার সংসার রক্ষার চেষ্টা করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। আশা করছি- কামিয়াবি হবো।
তিনি আরও বলেন, স্বামী কিংবা স্ত্রী, যে পক্ষই নগর ভবনে তালাকনামার নোটিশ পাঠাক, তার সঙ্গে কাবিননামার কপিও সংযুক্তি পাঠাতে হয়।
কিন্তু শাকিব খানের তালাকনামার নোটিশের সঙ্গে কাবিননামার কপি পাঠানো হয়নি। এখন তার কাছ থেকে কাবিননামার কপিও চাওয়া হবে। কিংবা তিনি নিজেও পাঠাতে পারেন। এরপর নগর কর্তৃপক্ষই উভয়পক্ষকে ডেকে সংসার রক্ষার জন্য সালিশ বসাবে। সেখানে উভয়পক্ষের সম্মতি পেলে সংসার টেকানোও সম্ভব। তবে কোনোভাবেই তিন মাসের আগে তাদের তালাক কার্যকর হচ্ছে না।
শাকিব খান ২২ নভেম্বর তালাকের নোটিশ পাঠালেও ডিএনসিসিতে এসেছে অনেক পরে। তবে মুসলিম নিকাহ আইনের ৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শাকিব-অপুকে নিয়ে সালিশ বসানো হবে। এক্ষেত্রে অপু বিশ্বাসকে যেহেতু তালাকের নোটিশ দেয়া হয়েছে তাই তার বসবাসের এলাকা নিকেতনের মধ্যে ডিএনসিসির যে জোনাল কর্মকর্তা রয়েছেন তিনিই সালিশি বৈঠকের প্রধান হবেন। জোনাল কর্মকর্তা চাইলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকেও বৈঠকে যুক্ত করতে পারবেন।