জন্মানোর পর থেকে আমরা অনেকে অনেক রকম আচরণ করি। তার কিছুটা অদ্ভুত আবার কিছুটা একেবারে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই। এইসকল আচরণের অনেকগুলিই আমাদের কেউ শিখিয়ে দেয় না। একেবারে সহজাতভাবেই এগুলি আমাদের মধ্যে দেখা যায়। গবেষকেরা বলেন মানুষের শরীর পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় বস্তু। কারণ আমরা কেন স্বপ্ন দেখি, হাসি, লজ্জা পাই এসবের কোনওটারই সঠিক কারণ এখনও বের করা যায়নি।
তেমনই আমাদের মনের উদারতার ধারণা কোথা থেকে আসে, অন্যকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাই কেন সে বিষয়েও কোনও সঠিক ধারণা গবেষকেরা দিতে পারেননি। মানুষের এমনই কয়েকটি আচরণ যার রহস্য সমাধান করা যায়নি এখনও।
১। লাজুক হওয়াঃ লাজুক হওয়ার বিষয়টি জিনগত হতে পারে। কোন পরিবেশে আমরা রয়েছি তা এক্ষেত্রে বিবেচ্য হয়। অনেক সময়ে পরিবেশ-পরিস্থিতি উপযুক্ত মনে না হলে আমরা কিছুটা গুটিয়ে থাকি। অপরিচিতের সঙ্গে কথা বলতে ইতস্তত করি বা অনেক লোকের সামনে কথা বলার সময়ে লাজুক হয়ে যাই।
২। চুমু খাওয়াঃ ভালোবাসার খুব অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দুজন মানুষ একে অপরকে আলিঙ্গন করেন, চুমু খান। এই সময়ে শরীরের স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়, দুজনের মধ্যে একাত্মতা বাড়ে। তবে কেন মানুষ এমন করে তার কোনও ব্যাখ্যা বের করা যায়নি।
৩। হাসিঃ জীবনের নানা মুহূর্তে আমরা হেসে উঠি। কোনও মজার জিনিস দেখলে অথবা কোনও মজার কথা শুনলে। হাসলে মানুষের আয়ু বাড়ে, ক্লান্তি ও অবসাদ কমে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। তবে আমরা কেন হাসি তার রহস্য এখনও অধরা।
৪। লজ্জা পাওয়াঃ কোনও ঘটনায় ইতস্তত হয়ে আমরা লজ্জা পাই। রোমান্সের সময়ে বা মিথ্যা কথা বলার সময়ে আমরা কিছুটা অন্যরকম হয়ে যাই। এটা মানুষের এক অনন্য গুণ। আর কোনও প্রাণীর মধ্যে লজ্জা পাওয়ার বিষয়টি নেই। তবে কেন এমন হয় তা এখনও অজানা।
৫। স্বপ্ন দেখাঃ ঘুমের মধ্যে আমরা স্বপ্ন দেখি। অনেকে যা ভাবেন বা যা নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাই অনেক সময়ে স্বপ্নে দেখে থাকেন। তবে রিয়েল লাইফের চেয়ে তা কিছুটা ভিন্ন হয়। তবে স্বপ্ন দেখার কোনও উপযুক্ত কারণ এখনও বের করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
৬। নাক খোঁটাঃ অনেকেরই এই অভ্যাস রয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি চারজনে একজন মানুষের এই অভ্যাস রয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে আমরা এই অভ্যাসে আসক্ত হই তা সঠিকভাবে বের করে ওঠা যায়নি।
৭। কুসংস্কারঃ বহু মানুষ কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন যার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। বহু মানুষ রয়েছেন যারা কুসংস্কারের নিজের পাশাপাশি অন্যের জীবনকেও দুর্বিষহ করে তোলেন। মানুষ কেন কুসংস্কারী হয়ে ওঠে, তার কোনও ব্যাখ্যা বিজ্ঞানে নেই।
৮। পরোপকারঃ অন্যের জন্য কিছু করা বা উদারতা দেখানো মানুষের খুব স্বাভাবিক স্বভাব। বহু মানুষ নিজের জীবনের বাজি রেখে অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়ান। মানুষ কোনও কিছু পাওয়ার আশা না করে কেন অন্যকে সাহায্য করে তার কোনও ব্যাখ্যা বিজ্ঞানে নেই।