ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ক্যান্টিনে ফাও খেতে বাধা দেওয়ায় দুজনকে মেরে রক্তাক্ত করেছেন ছাত্রলীগের এক নেতা। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এতে ক্যান্টিন ব্যবস্থাপক শফিক ও কর্মচারী মনির আহত হন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম ওয়াসিফ হাসান পিয়াস। তিনি ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তিনি হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেলের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, হলের ক্যান্টিনে টাকা দিয়ে খাওয়ার টোকেন নিতে হয়। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতা পিয়াস আজ রাতে হলের ক্যান্টিনে গিয়ে কর্মচারী মনিরকে খাবার দিতে বলেন। কর্মচারী জানান, ‘ভাই খাবার দেওয়ার জন্য টোকেন লাগবে।’ এ কথা বলাতে তৎক্ষণাৎ মনিরের পেটে ও মাথায় ঘুষি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন পিয়াস। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা চিৎকার দিয়ে বলতে থাকেন, ‘আমি খাওয়ার টোকেন নিব না।’ এরপর জোর করে খাবার নিয়ে নেন এই নেতা। খাওয়া শেষে যাওয়ার সময় ক্যান্টিন ব্যবস্থাপক শফিক তাঁকে বলেন, ‘একটা ছেলেকে না মেরে আমাকে বললেই খাবার দিয়ে দিতাম।’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে পিয়াস ক্যাশ টেবিলের ওপর উঠে ক্যাশ বাক্স লাথি দিয়ে ফেলে দেন। শফিককে লাথি ও ঘুষি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ক্যান্টিন ব্যবস্থাপক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন।
ক্যান্টিন কর্মচারী মনিরের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি শুধু বলেছি ভাই টোকেন ছাড়া খাওয়া দেওয়া নিষেধ। সাথে সাথে আমার পেটে এসে লাথি দেয়। মারতে থাকে। এখন আমার পেটে প্রচণ্ড ব্যথা।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা পিয়াসকে কল দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
নবাব সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল বলেন, ‘পিয়াস তাদের মারছে। তারা এখন ঢামেকে ভর্তি আছে। আমরা ছাত্রলীগ থেকে কাল (সোমবার) বসে আলোচনা করব।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসানকে একাধিবার কল দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এস এম হলের প্রাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, ‘তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের পাঁচদিন সময় দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।’