ভাগ্য সবসময় সাহসীদের পক্ষেই কথা বলে। মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্ষেত্রে কথাটা শতভাগ সত্য। বিপিএলে এবার নিয়ে চার-চারবার ফাইনালে উঠল মাশরাফির নেতৃত্বাধীন দল। প্রথম দুবার ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স। দুবারই শিরোপা জেতে ম্যাশের দল। তৃতীয় আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকেও শিরোপা জেতান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে জনপ্রিয় এই অধিনায়ক। চতুর্থ আসরে অবশ্য হতাশ হতে হয় মাশরাফিকে। তবে আসরের পঞ্চম পর্বে আবারো স্বরূপে উদ্ভাসিত এই অধিনায়ক। রংপুর রাইডার্সকে ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে খেলবে মাশরাফির দল।
শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে দুই উইকেটে ১৯২ রান সংগ্রহ করে রংপুর রাইডার্স। জবাবে লক্ষ্য থেকে ৩৬ রান দূরে থাকতেই শেষ হয় কুমিল্লার ইনিংস।
১৯২ রানের লক্ষ্যটা মিরপুরের উইকেটে এভারেস্ট জয় করার মতোই। তবে শুরুটা দারুণ করে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। প্রথম ৪ ওভারেই ৫০ রান তুলে নেয় দলটি। পঞ্চম ওভারে কুমিল্লার রানের চাকাটা টেনে ধরেন মাশরাফি। ব্যাট হাতে আগুন ঝড়াতে থাকা তামিম ইকবালকে ফিরিয়ে দেন রংপুরের অধিনায়ক। ১৯ বলে ৩৬ রান করেন তামিম। পরের ওভারে ফর্মে থাকা ইমরুল কায়েসকে ফিরিয়ে কুমিল্লাকে কাঁপিয়ে দেন নাজমুল ইসলাম অপু। রানের খাতাই খুলতে পারেননি ইমরুল।
দশ ওভারে শোয়েব মালিককেও ফেরান অপু। ১৩তম ওভারে লিটন দাস ফিরে গেলে জয়ের স্বপ্নে বড়সড় একটা ধাক্কা খায় কুমিল্লা। জস বাটলার ভালোই খেলছিলেন। মাত্র ১৬ বলে ২৬ রান করেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার। রবি বোপারা বাটলারকে ফেরান। এরপর ১৮তম ওভারে মারলন স্যামুয়েলসে ফিরিয়ে কুমিল্লার পরজয়টা নিশ্চিত করে ফেলেন বোপারা। এরপর কুমিল্লার বাকি ব্যাটসম্যানরা মিলে কেবল পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছেন। শেষ পর্যন্ত সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে শেষ হয় কুমিল্লার ইনিংস। ৩৬ রানের জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো বিপিএলের ফাইনালে উঠে গেল রংপুর রাইডার্স।