নড়াইলের আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাষ রায় ওরফে হানু হত্যা মামলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমএ রব হাওলাদার এ রায় দেন। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। রায় ঘোষণাকালে সব আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নড়াইল জেলা ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাহিদুর রহমান মিনা ওরফে শহিদ (৫২), তার ভাই মো. ইলিয়াছ মিনা (৫৬), সাহিদুর রহমান মিনার ছেলে মো. আশিকুর মিনা (২২), রাসেল মিনা (৩০), বাশার মোল্লা (৩০), রবিউল মোল্লা (২৫), এনায়েত মোল্লা (৫৩), ইয়াসিন মোল্লা (২৪) ও মামুন মিনা (২৮)। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট এনামুল হক।
আইনজীবীরা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রভাষ রায় নৌকার পক্ষে কাজ করেন। অপরদিকে আসামি মো. সাহিদুর রহমান মিনা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পর চেয়ারম্যানের সমর্থকরা প্রভাষ রায়ের বাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় প্রভাষ রায় চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনার জেরে ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রভাষ রায়কে হত্যা করা হয়।
ঘটনার একদিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের স্ত্রী টুটুল রানী বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ভবতোষ রায় ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন সাক্ষ্য দেন।