মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরার আরো উন্নয়নের দাবি তুলে ধরলেন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
রবিবার রাতে মহান জাতীয় সংসদে ১২ মিনিটের বক্তব্যে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সাতক্ষীরার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা করেন এবং বলেন, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কৃতি ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে। এ জেলা কৃষি ক্ষেত্রে ধান চাল খাদ্যশস্য ৬ লক্ষ মেঃ টন উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ৩ লক্ষ মেঃ টন দেশের বিভিন্ন জেলাসহ সরকারকে দিয়ে থাকে। এ জেলা থেকে মাছ, কুল, আম সাতক্ষীরা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলাসহ বিদেশে রপ্তানী করা হয়। কিন্তু জানিনা কি কারণে এ জেলার মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত। এ জেলাকে অবমূল্যায়ণ করা হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা জেলার প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। আমাদের জেলায় অনেক কিছু দিয়েছেন। ছোট একটি জেলা শহরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ.ফ.ম রুহুল হকের প্রচেষ্টায় মেডিকেল কলেজ দিয়েছেন। সাতক্ষীরাবাসীর স্বপ্ন, যা ৫০ বছরেও পেত না। সাতক্ষীরাবাসীর আরো একটি দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রেল লাইন স্থাপন দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর থেকে সরকার বছরে ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। এটাকে পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সাতক্ষীরাবাসীর দাবি এটা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে অনেক কিছু না চাইতে দিয়েছেন। আমার উজেলায় ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হয়েছে। চলতি বছরে এ উজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে। সাতক্ষীরা সদরের আগরদাড়িতে একটি নতুন থানা স্থাপনের দাবি জানান তিনি। বাংলাদেশ সরকারের সেতু ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি সাতক্ষীরায় গিয়েছিলেন তিনি দেখে এসেছেন সাতক্ষীরার রাস্তা-ঘাট অনেক খারাপ। এগুলোর পর্যায়ক্রমে কাজ হচ্ছে। এলজিইডিতে ঠিকাদাররা কাজ করছিল না। কারণ নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্য ঠিকাদাররা কাজ করতে পারছিল না। আমি ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারদের সাথে বসে আলোচনা করে সমাধান করেছি। টেন্ডার ও ওয়ার্ক ওয়ার্ডার হলে দ্রুত এসব রাস্তার কাজ শুরু হবে। এ জেলায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে মূল সড়ক পথে যশোর থেকে নাভারণ হয়ে সাতক্ষীরা, যশোর মনিরামপুর হয়ে মাইকেল মধুসুধন দত্তের বাড়ির পাশ দিয়ে সাতক্ষীরা ও খুলনা চুকনগর হয়ে সাতক্ষীরায় প্রবেশের রাস্তাগুলো অনেকাংশে খারাপ। এসব রাস্তার দ্রুত কাজ হলে সাতক্ষীরার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব হবে। সরকারের রাজস্ব খ্যাতে সাতক্ষীরা জেলা যে ট্যাক্স দিয়ে থাকে তার ১৬ ভাগের ৪ ভাগ সাতক্ষীরার উন্নয়নে ব্যয় করলে ও এ জেলা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত থাকবেনা। এমপি রবি মহান জাতীয় সংসদে জেলার উন্নয়নে যেসব দাবি তুলে ধরেছেন তা পুরণ হলে এ জেলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হবে মনে করেন সচেতন মহল।
পূর্ববর্তী পোস্ট