অবশেষে নড়েচড়ে বসল কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১১ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। ঘোষণা হয়েছে—প্রশ্ন ফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিলে মিলবে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ঘুরেফিরে উঠলেও এত দিন কানে তোলেনি মন্ত্রণালয়। গতকাল রবিবার নেওয়া সিদ্ধান্ত দুটিতে সমস্যার ভয়াবহতা অন্তত স্পষ্ট করা হলো। গতকাল এসংক্রান্ত সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পূর্বের সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকর থাকবে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি চালাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) বলা হয়েছে। বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ বলেছে, গতকাল পর্যন্ত তারা এসংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা পায়নি।
সম্প্রতি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের পর চলতি সপ্তাহে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হতে শুরু করেছে। বাংলা দুই পত্রেরই প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। আজকের ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা সামনে রেখেও দুই দিন ধরে দেখা গেছে ফেসবুকে ব্যাপক অপতৎপরতা। এক পক্ষ প্রশ্ন দেওয়ার আশ্বাসে দর হাঁকছিল, অন্য পক্ষ উৎকণ্ঠার সঙ্গে বলছিল, কখন পাওয়া যাবে প্রশ্ন। ‘আগে যাদের দিয়েছিলাম সবার কমন আইছে, এবার ইংরেজি দিব, যাদের লাগবে মেসেজ করো।’ একটি ফেসবুক পেজে এভাবেই দেওয়া হয় স্ট্যাটাস। ফেসবুকের আরো অনেক পেজ ও গ্রুপে ইংরেজির প্রশ্নপত্র ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে গতকাল দরাদরি করতে দেখা যায়। প্রত্যুত্তরে মেসেঞ্জার, ইমো, ভাইবারসহ যোগাযোগের বিকল্প মিডিয়ায় যোগাযোগ করতে বলছিল প্রশ্ন বিক্রেতারা। তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা বুঝে নিচ্ছিল। রাখঢাক ছাড়া এমনভাবে চলছে লেনদেন, যেন এটি কোনো অপরাধই নয়।
ফেসবুকে ফ্রি স্টাইলে বেপরোয়াভাবে যখন চলছে পরীক্ষার মতো বিষয় নিয়ে অপকর্ম, যখন গণমাধ্যমে চলছে তোলপাড়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেই কার্যকর পদক্ষেপ। যদিও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে এ ধরনের অপরাধ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে দণ্ডনীয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং র্যাবের গোয়েন্দা শাখায় সাইবার ক্রাইম ইউনিট থাকলেও প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে কার্যকর তদন্ত করছে না কেউ। জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষার শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটির চরম অবহেলার কারণে সম্পৃক্ত করা হয়নি বিশেষজ্ঞদের। গত বছর এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় শিক্ষকসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তারের পর ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া যায়। সেখানকার শিক্ষক-কর্মচারী এবং এক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সন্দেহের আওতায় আনা হলেও পরে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত হয়নি। এমনকি যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারাও জামিনে ছাড়া পেয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ বা তাগাদা না থাকলে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের খোঁজেন না সাইবার তদন্তকারীরা। গত দুই দিনের ব্যাপক সমালোচনার পর কিছুটা নজরদারি শুরু করেছে ডিবি ও সিটিটিসি। তথ্য মিলেছে, এখন পরীক্ষার পূর্বমুহূর্তে প্রশ্ন ফাঁস করছেন কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী। এরই মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম পরীক্ষার শৃঙ্খলা কমিটিরও সদস্য। গতকাল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করছি না, এটা ঠিক নয়। আজও মিটিং করলাম। একটি কমিটি হয়েছে। ১১ সদস্যের কমিটিতে পুলিশের দুজন আছে। শিগগিরই আমরা অভিযান চালাচ্ছি।’
মন্ত্রী বললেন, ধরা পড়বেই : এবার এসএসসির প্রথম দুটি পরীক্ষায়ই ফেসবুকে দেওয়া প্রশ্নের সঙ্গে এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চন) অংশ হুবহু মিলে যায়, যা নিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পরই গতকাল এক জরুরি সভায় প্রশ্ন ফাঁসকারীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সভার সিদ্ধান্তগুলো পরে নিজেই সাংবাদিকদের জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি এ সময় বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা প্রশ্ন ছড়াচ্ছে, তারা ধরা পড়বেই। এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ছড়ানো বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) বলা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, পরীক্ষা মনিটরিং ও প্রশ্ন ফাঁস এবং পরীক্ষা যথাযথ হয়েছে কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের নেতৃত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সুপারিশ পেশ করবে। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করবে ওই কমিটি। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভিজিল্যান্স টিম আরো জোরদার করা হবে। পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে প্রশ্নের মোড়ক খোলার সময় স্থানীয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা, একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রসচিবের যৌথ স্বাক্ষরে খোলা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো মোবাইল বা অন্য কোনো ডিভাইস নিয়ে কোনো শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা বা কর্মচারী প্রবেশ করলে তাকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা হবে। সব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে অবশ্যই তাদের নিজ নিজ আসনে বসতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের আরো বলেন, ‘যারা প্রশ্ন ফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়াচ্ছে, কার্যক্রম দেখে এ কথা প্রতীয়মান হয়, তাদের লক্ষ্য সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে হেয় প্রতিপন্ন করা। এ জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকে ধরা পড়বে। তাদেরকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।’
তবে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রসচিব পরীক্ষার হলে শুধু একটি সাধারণ মানের ফোন নিতে পারবেন বলে জানা গেছে। এদিকে এমসিকিউ তুলে দেওয়া হবে কি না এ বিষয়ে সেমিনার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
জানা যায়, ১১ সদস্যের কমিটিতে আরো থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিটিআরসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক শাখা এবং শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিরা। মন্ত্রণালয়ে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিটিআরসি এবং পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁস অব্যাহত থাকলেও দেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি গতকাল রবিবার পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে প্রতিকারমূলক কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা পায়নি বলে জানান বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহ্জাহান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘অনুরোধ বা নির্দেশনা পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত বছর এসএসসি পরীক্ষার সময় ২ মার্চ কমলাপুর শেরে-ই-বাংলা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলামসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। রফিকুল শিক্ষকতার পাশাপাশি জ্ঞানকোষ নামের একটি কোচিং চালাতেন। এরপর ২৭ মার্চ দুই চক্রের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তাদের মধ্যে আশুলিয়ার গাজিরচট এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোজাফফর হোসেন, শিক্ষক আতিকুল ইসলাম, সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, টঙ্গীর কোনিয়া কোচিং সেন্টারের শিক্ষক হামিদুর রহমান এবং আশুলিয়ার গাজিরচট এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অফিস সহকারী আবদুল মজিদ ছিলেন। তাঁরা প্রশ্ন দেওয়ার বিনিময়ে ফেসবুক গ্রুপের সদস্যদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে আদায় করতেন।
ডিবির একাধিক সূত্র জানায়, গত বছর এসব চক্রকে ধরার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করে ডিবি। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত বলে কিছু প্রমাণও মিলে। উঠে আসে ‘মেঞ্জিস’ নামের সাভারের এক শিক্ষা কর্মকর্তার নাম, যিনি এখন জয়পুরহাটে আছেন। ওই সময় তদন্তে জানা যায়, বিজি প্রেসের কম্পিউটার অপারেটরসহ কয়েকজন কর্মচারীও এই চক্রের সদস্য। পরীক্ষার আগে শিক্ষক ও কোচিং সেন্টার গ্রুপের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস হয়। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না থাকায় তদন্ত বেশি দূর এগোয়নি। প্রশ্ন দিয়ে টাকা পাওয়া যায়। যারা সন্দেহভাজন ওই লোকগুলোই কাজ করছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মোজাফফর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে প্রশ্ন ফাঁসের তথ্য দিয়েছেন। অথচ তিনিসহ অনেকেই জামিনে বের হয়ে গেছেন।’
সে সময় অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহমুদ নাসের জনি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। নির্দেশনা পেলেই অভিযান চালানো হবে।’
এদিকে সিআইডি সংঘবদ্ধ অপরাধ দলের প্রধান, বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম সম্প্রতি বলেন, ‘আমরা অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করছি। এসএসসি ও এইচএসসির প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে কাজ করছি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জালিয়াতচক্র ধরেছি। নির্দেশনা পেলে ওই বিষয়েও কাজ করব।’
জানতে চাইলে সিটিটিসি ইউনিটের সাইবার ক্রাইম দলের প্রধান উপকমিশনার আলিমুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ডিবির সঙ্গে আমরাও কাজ করছি। অপরাধীদের ধরা হবে।’
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক বলেন, প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে জনসচেতনতা বা বোধ তৈরি হয়নি। অনেকে মনে করছে প্রশ্ন ফাঁস করে সে অন্যের উপকার করছে। কেউ গোপনীয়তা ফাঁস করাকে সাফল্য বলেও মনে করে। আনন্দ খোঁজে। এগুলোই প্রশ্ন ফাঁস বাড়ার পেছনে বড় কারণ। তিনি আরো বলেন, ‘ডিবি, সিআইডি ও র্যাবের সাইবার ক্রাইম ইউনিট থাকলেও তাদের নেই প্রয়োজনীয় দক্ষতা। উন্নত বিশ্বের আদলে ‘মেটাপুলিশ ফোর্স’ করা উচিত।’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সাইবার ক্রাইম আইনে বিচার হলে অন্যরা শিক্ষা নেবে। অপরাধটিও কমবে।’
জানা যায়, পাবলিক পরীক্ষাগুলো (অপরাধ) আইনে প্রশ্ন ফাঁসে ন্যূনতম তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড শাস্তির এই বিধান রয়েছে। এ ছাড়া আইসিটি আইনের সংশোধিত ৩২ ধারাসহ (আগের ৫৭) কয়েকটি ধারায় অনলাইনের গোপনীয় তথ্য ফাঁস দণ্ডনীয় অপরাধ।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, আগে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ফটোকপি করে বিতরণ করা হতো, এখন তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কে বা কারা প্রশ্ন ফাঁস করছে তা বের করা বিটিআরসি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য অসম্ভব কিছু নয়।
সূত্র: কালের কণ্ঠ।