ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বিধানসভার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার সকাল ৭টা থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শুরু হয় এ ভোটগ্রহণ। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বুথে বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো।
এই রাজ্যে মূল লড়াইটা সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যে হলেও এবারে লড়াইটা হচ্ছে সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে।
ত্রিপুরায় মোট বিধানসভা আসন ৬০টি। ভোট হচ্ছে ৫৯টি আসনে। চরিলাম আসনে সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই আসনটিতে ভোট হবে আগামী ১২ মার্চ।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম পিটিআই জানিয়েছে, ত্রিপুরাতে মোট ভোটার ২৫ লাখ ৭৩ হাজার ৪১৩ জন। এর মধ্যে ১৩ লাখ পাঁচ হাজার ৩৭৫ জন পুরুষ ও ১২ লাখ ৬৮ হাজার ২০ জন নারী ভোটার। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ১১ জন ভোটার রয়েছে। এবার নতুন ভোটারের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৮০৩ জন।
ত্রিপুরার ৫৯টি কেন্দ্রে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৩০৭ জন। যার মধ্যে ৫৬টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। বাকি তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএমের জোটসঙ্গী ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই ও আরএসপি। পাশাপাশি বিজেপি লড়াই করছে ৫০টি আসনে। বাকি নয়টি আসনে লড়াই করবে বিজেপির জোটসঙ্গী ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা।
কংগ্রেস লড়ছে ৫৮টি আসনে। ত্রিপুরার মোট ৬০ টি আসনের মধ্যে সরকার গড়তে লাগবে ৩১টি আসন। ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম পেয়েছিলো ৪৯টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছিলো ১০টি আসন এবং স্বতন্ত্র থেকে পেয়েছিল একটি আসন। কিন্তু গত পাঁচ বছরে এই ত্রিপুরা রাজ্যের রাজনৈতিক রসায়ন পুরোপুরি বদলে গেছে। সিপিএমকে টক্কর দিতে এখানে উল্লেখযোগ্যভাবে উঠে এসেছে বিজেপি।
এই রাজ্যে শেষ কয়েকটি ভোটে দারুণভাবে সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। ফলে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা দখলের ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ আশাবাদী বিজেপি।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে এসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যবাসীর কাছে আহ্বান জানান, এবারের ভোটে ত্রিপুরায় মানিক ফেলে হীরে নিতে।
সকালে আগরতলার রামনগরের উমাকান্ত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভোট দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। অন্যদিকে, উদয়পুর বুথে নিজের ভোট দেন ত্রিপুরার বিজেপি সভাপতি বিপ্লবকুমার দেব। তিনি জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনের ফল হবে ঐতিহাসিক। কারণ ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকালে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ৩৮০ কোম্পানি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।