তখন রেসকোর্স ময়দান প্রকম্পিত হয়ে উঠে। লাখ লাখ জনতা হাত উত্তোলন করে জানান দেন, প্রিয় নেতা শেখ মুজিবকে উপাধি দেওয়া হোক।
এরপর তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এবার বক্তৃতা করবেন আমাদের প্রিয় নেতা ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমান। ‘
এরপর থেকেই জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে গেলেন বাঙালির প্রিয় ‘বঙ্গবন্ধু’।
দিনটি ছিল ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। এদিন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি পল্টনে লাখ লোকের সমাবেশে বক্তব্যে সেদিন আমি বলেছিলাম, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে হবে। ঠিক তার পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি স্বৈরশাসক বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তার পরেরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি সেই ঐতিহাসিক ১০ লাখ লোকের বিশাল সমাবেশে জাতির জনককে বঙ্গবন্ধু উপাধি ঘোষণা করি। ‘
স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবকে দেওয়া বঙ্গবন্ধু উপাধি ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে নানান ঐতিহাসিক দলিলে স্থায়ীভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়। কেন-না, বঙ্গবন্ধুর নামেই লক্ষ-কোটি বাঙালি, বাংলাদেশের মানুষ নিজের জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো