নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কর্তৃক ভূমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা জমি পুনরায় দখল চেষ্টা অভিযোগ উঠেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে পলাশপোল মৌজায়, বিল আবাদালি জে এল নং- ৯৪, ডি এস খতিয়ান ১৯৯৪, দাগ নং- ৪২৩১ জমির পরিমাণ ৫২ শতক, ৪২৩৮ দাগে ৭৪ এ কর ৩৪ শতক, ১২৮০ দাগে ১১৮ একর ৪ শতক ৩টি দাগে ১৯২ একর ৯০ শতক সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্তি ইটাগাছা এলাকার মৃত. মাদার মন্ডলের ছেলে মৃত ইমান আলি মন্ডল ৪১ একর ৩৭ শতক, রইচপুর এলাকার পিতা: মৃত. আতিয়ার রহমানের ছেলে রুহুল কুদ্দুস ১২ একর ৩৭ শতক, মাহাজান সরদার গং ১৪ একর ৩৫ শতক, মফিজউদ্দীন গং ২ একর ৬৬ শতক আসমেত খা গং ৮ একর ৬৮ শতক, মহম্মাদ গং ২ একর, আবু তাহের গং ১ একর ৩১ শতক, আলহাজ্ব নুরুল আমিন হাজী গং ১২ একর ২ শতক জমি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে ভোগদখল করে আসছিলো। সূত্র জানায়, ভূমিদস্যুরা স্বাধীনতার পর থেকে সরকারি জমি দখলে নিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে সরকারকে বঞ্চিত করছিলো এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে পৌর ৭নং ওয়ার্ডস্থ রইচপুর সাতক্ষীরা মৌজা এলাকা থেকে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে সরকারি জমি উদ্ধার করেন সীমানা নির্ধারণ করে দেন।
এসময় জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন, অতিঃ জেলা প্রশাসক রাজস্ব আব্দুল হান্নান, সহকারী কমিশনার ভূমি সাদিয়া আফরিন, সদর ভূমি কর্মকর্তা কান্তি লাল’র উপস্থিতিতে ১নং খাস খতিয়ানের ৩০০ বিঘা জমি মাপ যোগ করে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড উত্তোলন করা হয়।
কিন্তু এর কয়েকদিন পর অত্র রইচপুর এলাকার মহম্মদ সরদারের ছেলে মোস্তাক আহমেদ, মৃত. আশরাফ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে কামরুল ইসলাম, রসুলপুর এলাকার মনিসহ উক্ত দখলদাররা পুনরায় উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করার জন্য পায়তারা শুরু করেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
সূত্র জানায়, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে ইটাগাছা এলাকায় মৃত মাদার আলী মন্ডলের ছেলে মৃত ইমান আলী মন্ডল,তার ছেলে সুমন ও মামুন, রইচপুর এলাকার মৃত সানাউল্লাহর ছেলে মাহাজন সরদার গং,মফেজোদ্দি গং, রসুলপুর এলাকার মৃত আব্দুল হাই খাঁঁর ছেলে আব্দুল ওয়াহব খাঁ, আব্দুল আহাদ খাঁসহ রইচপুরের মোস্তাক আহম্মেদ, কামরুজ্জামান পলাশ, মধুমল্লারডাঙ্গী নূরুল মুহুরি উক্ত সম্পত্তি স্বাধীনতার পর থেকে সরকারি জমি অবৈধভাবে ভোগ দখল করে সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করে। এস এ ৬২ খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের নামে রেকর্ড আছে তার পরেও অবৈধ দখলে ছিলো ভূমিদস্যুদের। এদিকে জেলা প্রশাসক কর্তৃক উদ্ধারকৃত জমি পূর্ণরায় দখলে নিতে চেষ্টা করছেন ভূমিদস্যুরা। ৩’শ বিঘা জমির মধ্যে যে, মৎস্য ঘের আছে তা থেকে গভীর রাতে দিদারছে মাছ ধরা হচ্ছে।
এব্যাপারে পৌর ভূমি কর্মকর্তা কান্তি লাল জানান, উদ্ধারকৃত জমি ১নং খাস খতিয়ানের। দীর্ঘ দিন দখল হয়ে থাকা জমি ৩১ বিধি মোতাবেক জেলা প্রশাসক মহোদয়’র উদ্যেগে আমরা উদ্ধার করেছি।
এদিকে দখল হওয়া জমি উদ্ধার হওয়ায় জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে সরকারি সম্পত্তি যেন অবৈধ দলখ না হয় সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
সাতক্ষীরায় উদ্ধারকৃত সরকারি জমি আবারো দখলের চেষ্টার অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট