শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে মুসলিমদের ওপর হামলা ও সহিংসতা ঠেকাতে আরও সৈন্য নিয়োজিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। পুলিশ দাঙ্গা থামাতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হামলাকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস ছোড়ে।
সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ সিনহালারা বিভিন্ন মসজিদ এবং মুসলিমদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছিল। মুসলমানদের সাথে বিবাদকে কেন্দ্র করে একজন বৌদ্ধ তরুণের মৃত্যুর খবরে তারা কারফিউ উপেক্ষা করে এসব হামলা চালায়।
মসজিদ ও মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর একের পর এক হামলার পর দেশটিতে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়। পরে কারফিউর মেয়াদও বাড়ানো হয়। দেশটির কর্তৃপক্ষ সামাজিক মাধ্যম ব্লক করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার ক্যান্ডিতে একটি পুড়ে যাওয়া বাড়ির ভেতর থেকে এক মুসলিম তরুণের মৃতদেহ পাওয়ার পর থেকে সেখানে মুসলিমরা প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠতে পারে এবং আবারো সংঘাত শুরু হতে পারে এমন আশংকা করে কর্তৃপক্ষ।
নতুন করে সহিংসতায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনহালা সম্প্রদায় এবং সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ চলে বেশকিছু এলাকায় এবং বহু বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
বুধবার ক্যান্ডি শহরে হাতবোমা বহনের সময় সিনহালা সম্প্রদায়ের একজন ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে খবর আসে।
এমন প্রেক্ষাপটে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সেইসাথে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি মুখপাত্র রাজিথা সেনারাথানে।