আশা ছিল, সুযোগও ছিল। বলতে গেলে তারকাবিহীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হয়েছিল সাকিববিহীন বাংলাদেশ।
কিন্তু ঘরের মাঠে গত মাসের পারফর্মেন্সের থেকে আজকের পারফর্মেন্সের কোনো আলাদা করা গেল না। ১৩৯ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়ে ৮ বল বাকী থাকতেই ৬ উইকেটে হেরে গেল মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের দল অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হারা ভারত এই ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়াল।
কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ১৪০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে সুন্দর সূচনা করে ভারত। তবে দলীয় ২৮ রানে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে (১৭) বোল্ড করে ওপেনিং জুটি আর বাড়তে দেননি মুস্তাফিজ। ৭ রান করা ঋষভ পান্থকে বোল্ড করে দেন আরেক পেসার রুবেল হোসেন। ওই মুহূর্তে বেশ চাপে পড়ে যায় ভারত। সুরেশ রায়নার উইকেটটিও পেতে পারতেন রুবেল, যদি না মেহেদী মিরাজ ক্যাচ না ছাড়তেন। এর মূল্যও চুকাতে হয় বাংলাদেশকে। ধাওয়ানের সঙ্গে বড় জুটি গড়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখেন রায়না।
৩৫ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন শিখর ধাওয়ান। সেই রুবেল-মিরাজ জুটিতেই সুরেশ রায়নার (২৮) বিদায়ে ভাঙে ৬৮ রানের জুটি। জয় থেকে ভারত তখন মাত্র ৩২ রান দূরে। ভারতের দলীয় ১২৩ রানে ৪৩ বলে ৫৫ রান করা ধাওয়ানকে ফেরালেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে মিডউইকেটে ক্যাচ নিলেন লিটন দাস। তবে মণীষ পাণ্ডে আর দীনেশ কার্তিকের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় ভারত। মণীষ ১৯ বলে ২৭* আর দিনেশ ২ বলে ২* রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। মারকুটে মেজাজে থাকা সৌম্য সরকার ১২ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ১২ বলে ১৪ রান করে উনাদকাটের বলে যুজবেন্দ্র চাহালের তালুবন্দি হন। শার্দুল ঠাকুরের পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে রিভিউ নিয়ে বাঁচলেও শেষ বলে শর্ট ফাইন লেগে উনাদকাটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তামিম (১৫)। ২ চার ১ ছক্কায় বেশ ভালোই জমিয়ে ফেলেছিলেন মুশফিক। তবে দলীয় ৬৬ রানে ভারত রিভিউ নিয়ে তাকে থামায়। বিজয় শংকরের বলটি মুশফিকের (১৮) ব্যাট ছুঁয়ে জমা হয় উইকেটকিপার দিনেশ কার্তিকের গ্লাভসে।
বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেটের পতন হয় অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহর বিদায়ে। ৮ বলে ১ রান করে বিজয় শংকরের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। লিটন দাসের সঙ্গে ফর্মহীনতায় ভুগতে থাকা সাব্বির রহমান ১৫তম ওভারে দলের স্কোর একশ পা করান। দলীয় ১০৭ রানে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে সুরেশ রায়নার তালুবন্দি হন ৩০ বলে ৩ চারে ৩৪ রান করা লিটন। উনাদকাটের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি মিরাজ। অনেকদিন পর সাব্বিরের ব্যাটে আসে রান। ১৯তম ওভারে উনাদকাটের শিকার হওয়ার আগে ২৬ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় গুরুত্বপূর্ণ ৩০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৯ রান তুলে বাংলাদেশ।