১৬ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণকালে হাতেনাতে ধরা পড়ে ওয়াসিম নামের এক ছেলে। ঘটনার পর প্রতিবেশীরা শাস্তি হিসেবে ওই ছেলেকে হত্যার দাবি জানায়।
কিন্তু এমনতাবস্থায় ছেলের পরিবার বদলা হিসেবে তাদের পরিবারের যে কোনো নারীকে ধর্ষণের প্রস্তাব দেয়। এবং সবশেষ ওই ধর্ষক ছেলের চল্লিশ বছর বয়সী বোনকে ধর্ষণের মধ্যে দিয়ে বদলা নেয় ধর্ষিতা মেয়ের ভাই।
ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের রাজধানী লাহোর থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দূরে তোবাটেক সিং শহরে।
এএফপির খবর অনুযায়ী নাইম ইউসুফ নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ১৬ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণকালে হাতেনাতে ধরা পড়ে ওয়াসিম নামের এক ছেলে। এই ঘটনায় প্রতিবেশিরা জড়ো হয়ে ওই ছেলেকে হত্যার দাবি জানায়।
এরপর, ছেলের পরিবার বদলা হিসেবে তাদের পরিবারের যে কোনো নারীকে ধর্ষণের প্রস্তাব দেয়। এরপর ছেলের ৪০ বছর বয়সী বোনকে ধর্ষণের মধ্য দিয়ে ‘বদলা নেয়’ ১৬ বছর বয়সী ওই মেয়ের ভাই।”
নাইমের বক্তব্য অনুযায়ী দুই পরিবার একটি লিখিত সমঝোতায় আসেন যে দুই পরিবারই এই ঘটনার সবটা ভুলে যাবে।
এদিকে স্থানীয় থানা প্রধান লিখিত সমঝোতার ব্যাপারে জানান, ‘আমাদের একজন সদস্য ওই লিখিত সমঝোতাটি পেয়েছে, এবং এতে স্বাক্ষরকারী উভয় পরিবারের ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ প্রচলিত হওয়ায় পাকিস্তানের অনেক স্থানেই এই জাতীয় প্রতিশোধপরায়ণ আইনের প্রচলন রয়েছে।
নারীরা এই বিচারের বিষয়ে কোন মতামতই দিতে পারেন না। ফলে দিনের পর দিন এ নিয়ে অত্যাচার চলছেই।
এর আগে ২০০২ সালে জিরগার মাধ্যমে এই ধরণের একটি কুখ্যাত ঘটনা দক্ষিণ এশিয়াসহ সারাবিশ্বে ঘৃণার ঝড় তোলে।
মুখতার মাই নামের একজন ধর্ষণের শিকার হন একইভাবে। তিনি আদালতের কাছে গিয়েও কোন বিচার পাননি। তার চোখের সামনে দিয়েই ধর্ষকেরা জেল থেকে বের হয়ে যান।