জাপানের কিছু অফিসে চাকরিজীবী নারীদের গর্ভধারণ করতে চাইলে আগে থেকেই অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি পেলেই কেবল গর্ভধারণ করতে পারবেন ওই চাকরিজীবী নারী। সম্প্রতি টোকিওর এক চাইল্ড কেয়ারের এক নারী কর্মী এই নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে।
এ ব্যাপারে ওই নারীর স্বামী জানান, টোকিওর একটি চাইল্ড কেয়ারের কর্মী তার স্ত্রী। তবে গর্ভবতী হওয়ার আগে তিনি অফিসে তা জানাতে পারেননি। হঠাৎ করেই যখন জানতে পারেন তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন, তারপর অফিসে বিষয়টি জানান। তিনি আরও বলেন, অফিসের লোকজন তার স্ত্রীর সঙ্গে অত্যন্ত বাজে আচরণ করে। এমনকি গর্ভধারণের জন্য তাকে ক্ষমাপ্রার্থনা করে চিঠি লিখতেও বাধ্য করা হয়।
তবে জাপানের নারী অধিকার কর্মীরা এ ধরনের কড়াকড়ির ব্যাপক সমালোচনা করে আসছেন। মাতৃত্বের ইচ্ছার ওপর কর্মক্ষেত্রের এমন আচরণ ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের শামিল বলে মনে করছেন তারা। এছাড়াও সেখানকার নারী অধিকার কর্মীরা বহুদিন ধরে আন্দোলন করছে বিয়ের পর যেন মেয়েরা তাদের সারনেম বা নামের পদবী ধরে রাখতে পারে। কেননা, জাপানের ৯৬ শতাংশ নারী বিয়ের পর তাদের স্বামীর নামের পদবী গ্রহণ করে থাকে।