৫৩টি দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে ২৫তম কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠক (সিএইচওজিএম) শুরু হচ্ছে আজ।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপর ৫২ জন সরকার প্রধানের সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এ অনুষ্ঠানের পর বিকেলে সেন্ট জেমস প্রাসদে কমনওয়েলথ মহাসচিব আয়োজিত অপর এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। দিনব্যাপী ব্যস্ত কর্মসূচির সাইড লাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে আজ।
কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এবারের শীর্ষ সম্মেলন (সিএইচওজিএম) নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের দিকে।’ ওই আয়োজনে বেক্সিট পরবর্তী বৃটেনের সঙ্গে কমনওয়েলথ কান্ট্রিগুলোর সম্পর্ক নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ওয়েস্টমিনস্টারে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্মেলন কক্ষে কমনওয়েলথ নারী ফোরামের ‘এডুকেট টু এম্পাওয়ার: মেকিং ইকুইটেবল অ্যান্ড কোয়ালিটি প্রাইমারি এডুকেশন অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন এ রিয়েলিটি ফর গার্লস অ্যাক্রোস দ্য কমনওয়েলথ’ শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্য রেখেছেন।
২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তিনটি ‘রিট্রিট সেশন’ ও শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী কার্যনির্বাহী অধিবেশনে অংশ নেবেন। ২১ এপ্রিল তিনি রয়েল কমনওয়েলথ সোসাইটি (আরসিএস) আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সরকার প্রধানদের সংবর্ধনা এবং রাণীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এছাড়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আগামী ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।