আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের অন্তর্গত পাঞ্জাব প্রদেশে গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দেশে ধর্ষণের শাস্তি পেয়েছিলেন নারী৷ ধর্ষণের বিচার হিসেবে তাকেও ধর্ষণের শিকার হতে হয়।
জানা যায়, ধর্ষণের ফলে পাকিস্তানের ঐ নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরে তিনি নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।৷
লাহোর হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় শুয়ে ওই নারী পুলিশকে জানান, শাস্তি এবং ধর্ষণের কথা, যার ফলে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন৷ স্বামী বিদেশ থেকে ফেরার পর, তার মুখোমুখি হতে না পারার আশঙ্কাতেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন৷
পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, এই নারীর বাবা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে, যার শাস্তিস্বরূপ গ্রাম পঞ্চায়েত নির্দেশ দেয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই মেয়েটির বাবা, অভিযুক্তের মেয়েকে ধর্ষণ করবে৷ এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে৷ অন্যদিকে এই নারীর বাবা তাকে ঘিরে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে৷