মোস্তাফিজুর রহমান: আশাশুনির শ্রীউলায় সাংবাদিক তোষিকে কাইফু’র বিরুদ্ধে মৎস্য ঘের জবর দখলের মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করায় এলাকায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সরজমিন ঘুরে দেখাগেছে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের কলিমাখালী গ্রামের লাঙ্গলদাড়িয়া মৌজায় এমপি ডাঃ রুহুল হক এর এ্যাম্বাসিডর ও দৈনিক ভোরের পাতার নিজস্ব প্রতিনিধি তোষিকে কাইফু সহ এলাকাবাসী লাঙ্গলদাড়িয়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে মৎস্য ঘের পরিচালনা করে আসছেন। মৎস্য ঘেরে নদীর পানি সরবরাহের জন্য এলাকাবাসী সকল মৎস্য ঘের মালিকের জমির (ঘের) পাশ দিয়ে জোয়ারের পানি উঠা নামার জন্য একটি আউট ড্রেন নির্মান করেছে। যার একটি অংশের ড্রেন একই এলাকার মৃত বাবর আলী মেল্যার স্ত্রী স্বরুপজান বিবি’র (অভিযোগকারী) মৎস্য ঘেরের পাশ দিয়ে নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আউট ড্রেনের শুরুর দিকে তোষিকে কাইফুদের জমির উপর দিয়ে একটি বড় অংশ দীর্ঘ ১৬ বছর থেকে বর্তমানে ঐ এলাকার মৎস্য ঘেরে পানি উঠা নামার আউট ড্রেন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে কারও কোন আপত্তি ছিলনা। বিগত ১বছর পূর্বে তোষিকে কাইফু’র পরোপকারে ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় জামাত শিবিরের নেতাদের ইন্দনে স্বরুপজান বিবি এ আউট ড্রেনে বাঁধা সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে আশাশুনি থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে আউট ড্রেনটির সমস্যা সমাধান করেন। সেখান থেকেই সব ঘের মালিকরা সেভাবেই পানি পাচ্ছিলো এবং সব কিছু ঠিকঠাক চলছিলো। সম্প্রতি উপজেলার শ্রীউলায় যুব সমাজ ধ্বংসকারী জুয়া ও ফড়ের আসর বন্ধ করাকে কেন্দ্র জুয়াড়ী ও বোর্ড মালিকদের ইন্দনে আবারও আউট ড্রেনটি নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে শুরু করেন স্বরুপজান বিবি। প্রকাশিত সংবাদ সম্মেলনে স্বরুপজান বিবি সাংবাদিক তোষিকে কাইফুকে জামাত শিবিরের নেতা বললেও এ প্রতিবেদকের কাছে কথাটি অস্বীকার করে বলেন আমিতো এসকল কথা বলিনি। এদিকে এলাকায় সাংবাদিক তোষিকে কাইফু’র বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করায় ছোট-বড় সকলের মাঝে প্রতিবাদের ঝড় উঠতে দেখা গেছে। জানাগেছে ইতিপূর্বে স্বরুপজান বিবি’র পুত্র ইজ্জত আলী মাছ চুরির সময় জনগনের হাতে ধরা পড়লে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ইজ্জত আলী কোটে পুলিশের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করে। অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে আউট ড্রেন সমাধানের সময় উপস্থিত থাকা আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন বলেন, তোষিকে কাইফু বর্তমান সরকার এবং আলহাজ্ব ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক (এমপি) এর বিভিন্ন উন্নয়নের ব্যপক প্রচার করে থাকেন। সরকারের এই প্রচার-প্রসারকে বাঁধাগ্রস্থ করতে তোষিকে কাইফু’র বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে হয়রানী করা হচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে তোষিকে কাইফু সম্পূর্ণ নির্দোষ। জানতে চাইলে শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, এ বিষয়টি আমার ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিলো। আমরা কয়েকজন বিচারক, পরিষদের দুইজন ইউপি সদস্য ও দুইজন গ্রাম পুলিশকে পাঠিয়ে জনস্বার্থে ড্রেনটি পূর্বের ন্যায় তৈরীর করার জন্য বলা হয়। এখান থেকে ১বছর পূর্বে দীর্ঘ ১৫/১৬বছরের ন্যায় ড্রেনটি অব্যহত রাখা হয় এবং সেভাবেই শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিটি মৎস্য ঘেরে পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছিলো। অভিযোগের বিষয়ে তোষিকে কাইফু নির্দোষ। তিনি আরও বলেন স্বরুপজানের পুত্র ইজ্জত আলী এলাকার চিহ্নিত মাছ চোর। চুরি করার জন্য সে তাদের এ ঘেরকে ব্যবহার করেন। তার চুরির কাজে বাঁধা দেওয়ায় তার বৃদ্ধ মা, প্রতিবন্ধি বোন, পুত্র ও পুত্রবধুকে ব্যবহার করে মানুষকে বিপদে ফেলেন। এব্যাপারে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন প্রকাশিত সংবাদে প্রশাসনের কথা লেখা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে এ ব্যাপারে আশাশুনি থানা পুলিশ তাদেরকে কখনোই গ্রেফতার করেনি। শুনেছি বিষয়টির সমাধানে আশাশুনি থানা পুলিশের ভুমিকা ছিলো। তবে বর্তমানে বিষয়টি আমার নলেজে আছে। এখানে তোষিকে কাইফু কর্তৃক অন্যের ঘের দখল করার অভিযোগটি ভিত্তিহীন। সেখান থেকে একটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছিলো বলে আমি জানি।