রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার সাথে রূপম চাকমা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনার জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করা হয়েছে।
অবশ্য ইউপিডিএফের মুখপাত্র নিরন চাকমা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটা মিথ্যা ও বানোয়াট। এর সাথে ইউপিডিএফের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
শক্তিমান চাকমার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
উপজেলা পরিষদ চত্বরের বাসভবনেই থাকতেন শক্তিমান চাকমা। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে আসার পথে দুজন অস্ত্রধারী তাকে গুলি করে। তখন মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান তিনি। এ সময় একজন অস্ত্রধারী কাছে গিয়ে তাকে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর আহত শক্তিমান চাকমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শক্তিমান চাকমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অ্যাডভোকেট শক্তিমান চামকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
তিনি ২০১০ সালে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি থেকে বেরিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) নামের নতুন দলে যোগ দেন।