রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আসার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ৫ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ মে) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ক্যাংড়াছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা, জেএসএস (এমএন লারমা) যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য তনয় চাকমা ও মহালছড়ি যুব সমিতির সভাপতি সুজন চাকমা।
রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্ল্যেখ্য এর আগে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) দলের সহ-সভাপতি ও জেলার নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানর অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সদরে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো আরো জানিয়েছে, নিজ বাস ভবন থেকে শক্তিমান উপজেলা পরিষদে যাওয়ার সময় একদল দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে। এ ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সময় চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমার সঙ্গে জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) নানিয়ারচর উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রূপম চাকমা নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানা গেছে।
অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা ২০১০ সালে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পরে দলীয় কোন্দলের জের ধরে তিনি দল ত্যাগ করার পর সংস্কারপন্থী নামক পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) দলের সাথে যোগ দেন। সংস্কারপন্থি এই নেতা ছিলেন ওই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি। গেল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি নানিয়ারচর উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।