সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করলেও সংসদে প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের যে ঘোষণা দিয়েছেন তাই ‘ফাইনাল’ এবং সেই অনুযায়ী ‘খুব শিগগির’ প্রজ্ঞাপন জারির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামীকাল সোমবার সকাল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেওয়ার পর পরই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই ঘোষণা আসল।
এ নিয়ে ‘আন্দোলন সমীচীন নয়’ বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদে যা বললেন সেটার আবার গেজেট প্রকাশের জন্য আন্দোলনের হুমকি, এটা বোধহয় সমীচীন হচ্ছে না। আমি ছাত্র সমাজকে বলব, তাদের দাবির ব্যাপারে সরকার খুবই সহানুভূতিশীল এবং সরকার সক্রিয়।’
ওবায়দুল কাদের আজ রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা বাতিলের যৌক্তিক সমাধানের সব রকম প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। কাজেই আমি তাদের বলব, একটু ধৈর্য ধরতে। অনতিবিলম্বে তারা সমাধান পেয়ে যাবে। এই নিয়ে আন্দোলন পরীক্ষা, ক্লাস বর্জন করা ঠিক হচ্ছে না।’
সরকারি চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। প্রজ্ঞাপন জারির প্রক্রিয়া থেমে নেই। সময়মতোই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যই ফাইনাল।এই ইস্যুতে আন্দোলনের হুমকি সমীচীন নয়। ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সরকারের সহানুভূতি রয়েছে। সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা পদ্ধতি থাকবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোটা বাতিলের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে দিয়েছেন। কোটা থাকবে না এটা তিনি বলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেটা বলেন সেটা তিনি করেন। তার কথার নড়চড় হয় না। এখানে অনেক কোটা আছে। এগুলো সমন্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কাজ থেমে নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বিষয় নিয়ে এখানে যদি কেউ রাজনীতি করতে চান, তাহলে ভিন্ন কথা। যৌক্তিক সমাধান যাঁরা চান তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর মুখের কথার ওপর আস্থা রাখা উচিত। বিশ্বাস করা উচিত। আমি এই কথাটাই বলতে চাই।