আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরায় উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে গাছ থেকে পাকা আম পাড়া। নানা জাতের বাহারি আমে ছেয়ে গেছে সাতক্ষীরার বাগান।
চাষীরা এবারও বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত আম উৎপাদন করেছেন। দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে সাতক্ষীরার মিষ্টি আমের চাহিদা রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বাজারে উঠছে সাতক্ষীরার হিমসাগর জাতের আম। এরপরই আসছে ল্যাংড়া ও আ¤্রপালি জাতের আম।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহযোগ্য বালাইমুক্ত নিরাপদ আম উৎপাদন ও বিপণন শীর্ষক এক কর্মশালায় এই তথ্য প্রকাশ করেন আয়োজকরা। তারা বলেন, এবার সাতক্ষীরার ৪১ শ’ হেক্টর জমিতে আমচাষ হয়েছে। এর থেকে উৎপাদন পাওয়া যাবে ৪০ হাজার মেট্রিক টন। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে সাতক্ষীরা থেকে মোট ২০০ মেট্রিক টন বিষ ও বালাইমুক্ত নিরাপদ আম রফতানি হবে। প্রথম দফায় আজ এ জেলা থেকে ৪ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানী করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসীন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন, উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ পরিচালক মো. আজহার আলি, অতিরিক্ত পরিচালক নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, কৃষিবিদ মো. আনোয়ার হোসেন, সাতক্ষীরা কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আবদুল মান্নান প্রমূখ।
পরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের বড়খামারে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহযোগ্য বালাইমুক্ত নিরাপদ আম রপ্তানির লক্ষে গাছ থেকে হিমসাগর জাতের পাকা আম সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসীন। এ সময় তিনি বলেন, সাতক্ষীরার আম স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়। বিশ্বের বাজারে এর চাহিদা রয়েছে। তিনি বলেন চাষীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে রফতানিযোগ্য আম উৎপাদনে কৃষি বিভিাগ ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা সহায়তা করেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট