দেশের খবর: সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮। ৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই আইনের বিভিন্ন ধারার সঙ্গে মোটরযানের চালকের নেওয়া লাইসেন্সে পয়েন্ট সিস্টেম রাখা হয়েছে, যা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় বিদ্যমান। সড়কে গাড়ি চালানোর সময় মোটরযানের চালক দ্বারা সংগঠিত ছোট ছোট অপরাধের জন্য লাইসেন্স বাতিল করার টার্গেট থেকেই এই সিস্টেমটি যুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহম্মদ শফিউল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন আইনের ১১ ধারায় বলা হয়েছে, মোটরযানের চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সে ১২টি পয়েন্ট দেওয়া হবে। এক একটি অপরাধের জন্য একটি পয়েন্ট কাটা যাবে। অপরাধ বাড়তে থাকলে পয়েন্ট কমতে থাকবে। এক সময় পয়েন্ট কাটতে কাটতে ১২টি পয়েন্ট শেষ হয়ে গেলে বা নীল হয়ে গেলে অটোমেটিকভাবেই চালকের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮ এর ১১ ধারায় বলা হয়েছে, রাস্তায় লাল বাতি অমান্য করে গাড়ি চালিয়ে গেলে পয়েন্ট কাটা যাবে। একইভাবে রং সাইড দিয়ে গাড়ি চালালে, জেব্রা ক্রসিং অমান্য করে গাড়ি চালালে পয়েন্ট কাটা যাবে। নির্দিষ্ট স্থান রেখে গাড়ি পার্কিং করলে লাইসেন্সের পয়েন্ট কাটা যাবে। একইভাবে সিটবেল্ট না বাঁধলে পয়েন্ট কাটা যাবে। ওভারটেকিং নিষিদ্ধ এমন স্থান থেকে ওভারটেক করলেও পয়েন্ট কাটা যাবে। রাস্তা পারাপারের স্থানে পথচারীকে রাস্তা পারাপারের সুযোগ না দিলেও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সের পয়েন্ট কাটা যাবে। এভাবে মোট ১২টি পয়েন্ট রাখা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘গাড়ি চালানোর সময় গাড়ির চালক কোনোভাবেই মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারবেন না। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালালেও পয়েন্ট কাটা যাবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত দেশ যেমন সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ডে এমন বিধান রয়েছে। সেই সব দেশের সড়কের আইনের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই নতুন সড়ক পরিবহন আইনে এ ধারাটি সংযোজন করা হয়েছে। ‘
চালু হচ্ছে ১২ পয়েন্টের ড্রাইভিং লাইসেন্স
পূর্ববর্তী পোস্ট