দেশের খবর: রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে গণপরিবহনের কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা তা চেক করছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ইউনিয়ন ও কমিটিগুলো। বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে কমিটির সদস্যরা টার্মিনালে থাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয় দুপুরের দিকে।
দুপুরে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে গাড়ির কাগজপত্র চেক করতে দেখা গেছে। এছাড়া মহাখালী ও গুলিস্তানেও অভিযান চলছে বলে জানা গেছে।
দুপুর ১২টা থেকে সায়েদাবাদ টার্মিনালে চার শতাধিক পরিবহনের কাগজপত্র চেক করা হয়েছে। ৩০-৪০টির মতো গাড়িতে কাগজপত্র আপডেট পাওয়া যায়নি। বাকি গাড়ি টার্মিনাল ছেড়ে গেছে।
এ টার্মিনালে চেকের দায়িত্বে রয়েছেন সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও শ্রমিক কমিটির নেতা রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা সকাল থেকেই কাজ শুরু করি। এ পর্যন্ত (দুপুর ২টা ২০ মিনিট) ৪০০ গাড়ি চেক করেছি। এরমধ্যে অধিকাংশের কাগজপত্র ঠিক আছে। আর যেসব গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই সেগুলো টার্মিনাল থেকে বের হচ্ছে না।’দুপুরের দিকে সায়েদাবাদ টার্মিনালে থেকে গাড়ি বের হওয়ার আগেই মালিক ও শ্রমিক সমিতিগুলোর চেকারদের চালক ও হেলপাররা কাগজপত্র দেখিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন।
এদিকে, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘সকাল থেকে মহাখালী টার্মিনালে আমাদের প্রতিনিধিরা চেক শুরু করেছে। দুপুরের দিকে শুরু হয়েছে সায়েদাবাদ ও গুলিস্তানে। যেসব গাড়ির কাগজপত্র নেই সেসব মালিক তা আপডেট করে নিচ্ছেন।’
এ বিষয়ে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করেছি। অবৈধ পরিবহন বা কাগজপত্রবিহীন কোনও পরিবহনকে ছাড় দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান জিরো ট্রলারেন্স।’মহাখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমাদের যা যা করণীয় তাই করছি। সকাল থেকে আমরা কাগজপত্র ছাড়া কোনও গাড়ি ছাড়তে দিচ্ছি না।’
নগরীর টার্মিনালগুলোতে মালিকদের এ অভিযান ও ট্রাফিক সপ্তাহ চলার কারণে সড়ক জুড়ে লক্কড় ঝক্কড় পরিবহন চোখে পড়েনি। রাস্তায় গণপরিবহন ও কম দেখা গেছে।
রাস্তায় বের হচ্ছে না কাগজপত্রবিহীন গাড়ি
পূর্ববর্তী পোস্ট