দেশের খবর: নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের অনেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পর আজ কোটা সংস্কার আন্দোলনের পাঁচ মামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ২৭ শিক্ষার্থীরও জামিন মিলেছে।
সোমবার ঢাকার বিভিন্ন মহানগর হাকিম আদালত এসব শিক্ষার্থীদের জামিনের আদেশ দেন। এর মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুহাম্মাদ রাশেদ খানও রয়েছেন।
এই জামিন আদেশের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে কাউকে অন্য কোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো না হলে, কারো বিরুদ্ধে একাধিক মামলা না থাকলে এবং জামিনের কাগজপত্র কাল মঙ্গলবারের মধ্যে কারাগারে পৌঁছালে, তাঁরা যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মুক্তি পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
জামিন পাওয়া অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- মাসুদ আলম, আবু সাঈদ ওরফে ফজলে রাব্বী, রাকিবুল হাসান, আতিকুর রহমান, সাইদুর রহমান, জসীম উদ্দিন, আলী হোসেন, মাসুদ সরকার, ইউসুফ চৌধুরী, সাইদুল ইসলাম তৌহিদ, আলমগীর হোসেন, মাহবুবুর রহমান, ফারুক, এ পি এম সুহেল, সাখাওয়াত হোসেন, লুৎফুন্নাহার লুনা, তরিকুল ইসলাম, মশিউর প্রমুখ। এদের মধ্যে রাশেদ খানসহ কয়েকজন একাধিক মামলার আসামি।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদ হাসান জানান, আজ ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদসহ ২৭ জনের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ১ জুলাই দুপুরে মিরপুর-১৪ নম্বরের ভাষানটেক বাজার এলাকার মজুমদার রোডের ১২ নম্বর বাসা থেকে রাশেদকে আটক করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে শাহবাগ থানায় করা আইসিটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলাটি দায়ের করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়।
নথিতে থেকে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন, যা প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রক্রিয়াধীন। এরপরও গত ২৭ জুন রাশেদ খান ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে ভিডিও লাইভে এসে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য দেন।
আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বাসায় ভাঙচুরের আরেক মামলায় রাশেদকে আরও পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে গত ১৮ জুলাই রাশেদকে আদালতে হাজির করা হয়।
কোটা আন্দোলনের ২৭ জনের জামিন
পূর্ববর্তী পোস্ট