অনলাইন ডেস্ক: বেকায়দাভাবে যখন নখ বৃদ্ধি পায় এবং নখ নিচের মাংসের ভেতর ঢুকে যায় তখন নখের কোণায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। এই সমস্যাকে ‘নখের কোনা ওঠা’ বলা হয়। হাতের নখের থেকে পায়ের নখে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। কারণ পায়ের নখে তুলনামূলকভাবে ধুলো, বালি, ময়লা, ঘাম, পানি বেশি লাগে। ফলে নখের কোনে ইনফেকশন দেখা দেয়। কখনো কখনো ব্যথার সঙ্গে হলুদ পুঁজও দেখা যায়।
নখের কোনা ওঠার প্রথম চিকিত্সা হলো নখের যে বাড়তি অংশের জন্য ব্যথা হচ্ছে সেই অংশটুকু কেটে ফেলতে হবে। তাহলে ব্যথা সঙ্গে সঙ্গে কমে যাবে। যদি নখের কোনায় পুঁজ জমে থাকে তাহলে টপিকাল এন্টিবায়োটিক লাগাতে হবে অথবা ওরাল এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। তবে ইনফেকশন হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
এছাড়াও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, এন্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান, জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। তবে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম উপায়। তাই নখ সব সময় সোজাভাবে কাটতে হবে, পায়ের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, বাইরে থেকে আসার পর পা ও হাত ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে মুছে ফেলতে হবে, পরিষ্কার জুতা ও মুজা পড়তে হবে, আরামদায়ক ও পায়ের মাপ মতো জুতা পড়তে হবে, প্রতিদিন গোসলের সময় পায়ের নিচের শক্ত চামড়া পরিষ্কার করতে হবে। তবে দীর্ঘ দিন নখের কোনা ওঠা সমস্যায় ভুগে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।