অনলাইন ডেস্ক: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন সিঙ্গাপুরের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দামি উপহার নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই ব্যবসায়ীর কাছে দেশের দুটি দ্বীপ টেন্ডার ছাড়াই তুলে দেন তিনি। দুর্নীতির ওপর নজরদারিকারী একটি গ্রুপ গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়।
গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনসোর্টিয়াম জানায়, এ ছাড়া কয়েক কোটি ডলারের একটি দুর্নীতির সঙ্গেও যুক্ত ইয়ামিন। এমন এক সময় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো, যার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই তিন লাখ ৪০ হাজার জনসংখ্যার এই দেশটিতে পুনর্নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ইয়ামিন। তাঁর মূল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও বিরোধীরা অবশ্য সবাই হয় জেলে নয়তো নির্বাসনে। গণমাধ্যমকেও অত্যন্ত শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।
দ্বীপ দেওয়ার মূল ঘটনাটি ঘটে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে। সে সময়ের পর্যটনমন্ত্রী এবং ইয়ামিনের ডেপুটি আহমেদ আদিবও এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। পরবর্তী সময়ে দুর্নীতিসহ একাধিক অভিযোগে তাঁদের কারাদণ্ড হয়। এই ঘটনা প্রথম আলোর মুখ দেখে ২০১৬ সালে। আলজাজিরার এক তদন্তে এ ঘটনাটি বের হয়ে আসে। তবে ইয়ামিন এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
তবে এবার গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনসোর্টিয়াম সরকারি নথিপত্রের বরাত দিয়ে এ অভিযোগ করে। টেন্ডার ছাড়াই ট্যুরিজম রিসোর্ট ডেভেলপারদের সঙ্গে অন্তত দুই ডজন চুক্তি করেন ইয়ামিন। তারা ইয়ামিন ও আদিবের সিঙ্গাপুরে বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থানের ছবিও প্রকাশ করে। পরবর্তী সময় ওই ব্যবসায়ী মালদ্বীপের জনবসতিশূন্য একটি দ্বীপ বিনা মূল্যে এবং আরেকটি মাত্র ৫০ লাখ ডলার দিয়ে গ্রহণ করেন। সূত্র : এএফপি।
উপহারের বিনিময়ে দেয়া হলো দুটি দ্বীপ
পূর্ববর্তী পোস্ট