অনলাইন ডেস্ক: সম্প্রতি বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের মধ্যে ইয়াবা ব্যাপক জনপ্রিয়। আর বহন করতে সহজ হওয়ায় বেশির ভাগ মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা ব্যবসার দিকে বেশি ঝুঁকছেন। ইয়াবার মরণ ছোবলে বিপথগামী হচ্ছে পরিবার, সমাজ ও ব্যক্তিজীবন। দীর্ঘদিন ‘ইয়াবা’ সেবনে শারীরিক ও মানসিক মারাত্মক জটিলতা তৈরি হয়। এর মরণ ছোবলে জীবন নিঃশেষ হয়ে যায়।
আসুন জেনে নেই ইয়াবা সেবনে যেসব শারীরিক ক্ষতি হয় আপনার।
মস্তিষ্কের সমস্যা
ইয়াবা সেবনে মস্তিষ্কের কিছু ছোট রক্তনালি নষ্ট হতে পারে। দীর্ঘদিন সেবনে অল্প বয়সেও ব্রেনস্ট্রোক করে প্যারালাইজড হওয়া বা চলাচলে অক্ষম হওয়ার আশঙ্কা ৯৫ শতাংশ।
রক্তচাপ বেড়ে যায়
ইয়াবা সেবন দ্রুত হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ জাগিয়ে তোলে। এছাড়া তীব্র মাথাব্যথা হয় বা মাথা ধরে। তাই ইয়াবা সেবন থেকে রিবত থাকুন।
দৃষ্টিশক্তি কমে যায়
চোখের মণি প্রসারিত (ডায়ালাইটেড) হয়। দৃষ্টি আস্তে আস্তে কমে যায় বা নষ্ট হয়। কোনো কিছু মনে রাখতে পারে না বা ভুলে যায়। কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যায় বা আগ্রহ থাকে না।
ক্ষুধা নষ্ট
ইয়াবার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হলো ক্ষুধা কমে যাওয়া বা ক্ষুধাহীনতা। ফলে আস্তে আস্তে ওজন কমে যায়। মাঝেমধ্যেই বুক ধড়ফড় করে, অস্থিরতায় ভোগে। বুকে ব্যথা বা হার্টের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
লিভার ও কিডনি
ইয়াবা সেবনের ফলে লিভারসিরোসিস থেকে লিভার ক্যানসারেও পরিণত হতে পারে। এছাড়া শরীরে একধরনের তাপ তৈরি হয়, যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
ফুসফুসের সমস্যা
নাক দিয়ে ধোঁয়া হিসেবে ব্যবহার করায় ফুসফুসে পানি জমা বা অন্য ক্ষতি হতে পারে। স্কিন বা চামড়া লাল হয়ে যায় বা মারাত্মক চর্মরোগের সমস্যা তৈরি করে।
কর্মক্ষমতা হারায়
শরীর প্রচণ্ড অলস হয়ে পড়ে। পড়াশোনা, দৈনন্দিন কাজকর্মে আগ্রহ কমে যায়, কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। অতিরিক্ত ইয়াবা গ্রহণ হাইপারথার্মিয়া বা উচ্চ শারীরিক তাপমাত্রার কারণ হতে পারে।
ঘুমের সমস্যা
এর প্রভাবে কেউ দিনে ঘুমায়, রাতে জেগে থাকে। কেউ কেউ টানা সাত থেকে ১০ দিন জেগে থাকে, আবার একটানা ঘুমায়।
সিজোফ্রেনিয়া ও হ্যালুসিনেশন
কারো ক্ষেত্রে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। অনেকে পাগল হয়ে যায়। চোখে উল্টাপাল্টা দেখে। কারো কারো ক্ষেত্রে হ্যালুসিনেশন বা গায়েবি আওয়াজ শোনার ঘটনা ঘটে।
আত্মহত্যার প্রবণতা
ডিপ্রেশন বা হতাশাজনিত নানা রকম অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পায়। আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ে। অনেকে হঠাৎ আত্মহত্যা করে বসে।