দেশের খবর: সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নয়, যৌক্তিক সংস্কার দাবি করেছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারীরা ৫ দফার আলোকে কোটা সংস্কারের এই দাবি জানান। তারা বলেন, আমরা কখনোই কোটা বাতিল চাইনি। তাই এ বাতিলের কারণে উদ্ভূত সমস্যার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
আজ রোববার (৭ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে কোটা বাতিলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, ফারুক হোসেন প্রমুখ।
হাসান আল মামুন আরও বলেন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির সরকারি চাকরিতেও কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারি চাকরিতে বিশেষ নিয়োগ ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না। এছাড়াও নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল নম্বরসহ প্রকাশের জোর দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রসমাজের নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক যে সকল মামলা দায়ের করা হয়েছে তা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে জানিয়ে হাসান আল মামুন বলেন, আন্দোলনকারীদের ওপর বর্বর হামলাকারীদের বিচার ও শাস্তি দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল দেশের চাকরি প্রত্যাশীরা। এ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে।
এরপর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছে।
এদিকে, মন্ত্রিপরিষদের কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও পোষ্যদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা বহাল চেয়ে সারাদেশে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’।
কোটা ব্যবস্থা বাতিলের পরিপত্রকে ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে আগামী মন্ত্রিসভায় কোটা ব্যবস্থাকে পুনর্বহালের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
কোটা বাতিল নয়, সংস্কার দাবি শিক্ষার্থীদের
পূর্ববর্তী পোস্ট