রাজনীতির খবর: যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনিরকে একটি অনুষ্ঠানে ফুল দিয়ে বরণ করা নিয়ে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। বরণ করার সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ফলে তিনি অত্র আসনে দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে নিন্দিত হয়েছেন। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বর্তমানে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার স্কুলছাত্রীদের বরণ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। উপজেলার এবিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফুল হাতে নিয়ে ছাত্রীরা এমপি মনিরুলসহ অন্যান্য অতিথিদের বরণ করে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, এমপি মনির ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ রুমের মধ্যে বসে আছেন। একদল ছাত্রী গাঁদা ফুলের মালা হাতে অতিথিদের সামনে দাঁড়াল। তারপর তারা ‘ধন ধান্যে পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা’ গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফুল হাতে করজোড়ে প্রণামের মতো করে মাথা নত করে উঠছে আর বসছে।
অতিথিদের সামনে দাঁড় করিয়ে ছাত্রীদের এভাবে উঠবস করাকে ভালোভাবে নেয়নি এলাকাবাসী। ৪ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ভাইরাল হয়। ভিডিওটি প্রায় ৩ লাখ বার দেখা হয়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ৫ হাজারেরও অধিক।
ভিডিওটি ভাইরাল হলে যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সংসদ সদস্য এ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির। শতশত ফেসবুকার তাদের ওয়ালে সংসদ সদস্যকে সমালোচনা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এস এম হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের নজির সৃষ্টি করলেন এমপি মনির। ছোটছোট বাচ্চারা ফুল দেওয়ার নামে হাতজোড় করে বারবার উঠাবসার মত কুর্নিশ করা কোনো সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে তা আমার জানা নেই। আমি মনে করি শিশু বাচ্চাদেরকে বাধ্য করা হয়েছে। এটি মানসিক নির্যাতনের শামিল। এ ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি মাসুদ চৌধুরী বলেন, ঘটনাটিতে সংসদ সদস্যের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মঞ্চে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সেকারণে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। তবে পদ্ধতিটা কিছুটা ত্রুটি ছিল। স্কুলের ম্যানেজমেন্ট এর জন্য দায়ী। ভিডিওটি ভাইরাল হবার পর সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনির তার ফেসবুকে লিখেছেন অনুষ্ঠানে কি ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হবে তা তিনি জানেন না। তাই ভিডিওটি দেখে কেউ আহত হলে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজান আলী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ফুল দিয়ে বরণ করা। কিন্তু যেভাবে বরণ করা হয়েছে তা সঠিক ছিল না। আমাদের ভুল হবার জন্য দুঃখিত।
https://www.youtube.com/watch?v=7G94IDOjv-A