অপ্রতিম: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম দলীয় প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গণনা শেষে জেলা নির্বাচন অফিসের একটি বিশেষ সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, জেলার ১৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ৬৪৭ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ আনারস প্রতীক নিয়ে ১৭৮ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করার কথা সাংবাদিকদের জানান। স্থগিতকৃত কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনের ৯নং ওয়ার্ডের শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ হলরুম, ৬নং ওয়ার্ডের দেবহাটা উপজেলার সখিপুর খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজ কেন্দ্র ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা হারুনার রশীদ কলেজ কেন্দ্র। স্থগিতকৃত তিনটি কেন্দ্রে ভোটের সংখ্যা মাত্র ২’শ ৭জন।
তবে, স্থগিতকৃত ভোট কেন্দ্রের ভোট দ্বারা চেয়ারম্যান পদের ফলাফল পরিবর্তন হওয়ার আর কোন সম্ভবনা না থাকায় নজরুল ইসলামকে বেসরকারিভাবে বিপুলভোটে নির্বাচিত বলা যায়।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভাকে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে বিভক্ত করে সীমান নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৫টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়। জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হন মোট ১০০ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২জন, পুরুষ সদস্য পদে ৭৯ জন এবং সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য পদে ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটারের সংখ্যা মোট ১০৫১ জন। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত থাকায় এ নির্বাচনে ৮’শ ৪৪ জন ভোটারের মধ্যে ৮’শ ২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন এবং বাকি ১৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।
সদস্য পদে বিজয়ী ও এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের নাম ও প্রাপ্ত ভোট সংখ্যাসহ বিস্তারিত সংবাদ আসছে…………