অনলাইন ডেস্ক: কুঁজোর পানির ঠাণ্ডা হওয়ার কারণ অনেকেই জানেন। কিন্তু এ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে রেফ্রিজারেটর তৈরির ব্যাপারটা বিস্ময়কর! তবে বিস্ময়কর কাজটাই করে দেখালেন মনসুখভাই প্রজাপতি। তার তৈরি মাটির রেফ্রিজারেটর কম আয়ের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে পাড়ি দিচ্ছে বিদেশেও।
হাইস্কুলের গণ্ডিও পেরোননি ভারতের গুজরাটের মনসুখভাই। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই স্কুল ছাড়েন তিনি। উত্তরাধিকার সূত্রেই জানতেন কুমোরের কাজ।আর তাই কুঁজোয় কেনো পানি ঠাণ্ডা থাকে সেটা জানতে তার বাকি ছিলো না। পেশার খাতিরে চালাতেন একটা চা দোকান। এছাড়া টালি তৈরির কাজওছিলো। তবে এসব কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না। চাইছিলেন নতুন কিছু করতে। আর তাই কুঁজোর প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে একদিন তৈরি করে ফেললেন মাটিররেফ্রিজারেটর। যেটি বিদ্যুৎ ছাড়াই চলতে পারে।
বাষ্পায়নে শৈত্যের সৃষ্টি হয়-বিজ্ঞানের এ সহজ নিয়মই কাজ করেছে তার রেফ্রিজারেটরে। পুরোপুরি মাটির তৈরি রেফ্রিজারেটরের পানি ভরার ব্যবস্থা রয়েছে। বাষ্পায়নেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতেই বিদ্যুৎ ছাড়াই ঠাণ্ডা থাকছে খাবার-দাবার। মাটি থেকে তৈরি বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিট্টিকুল`। দামও ৩ হাজারের মধ্যে। ফলে প্রায় সকলেই এ রেফ্রিজারেটর কিনতে পারবেন। মিট্টিকুলের চাহিদা এমনই যে, এখন তা দেশ ছাড়িয়ে পাড়ি দিচ্ছে
বিদেশেও। মিট্টিকুলকে আলাদা একটা কোম্পানির রূপ দিতে পেরেছেন মনসুখভাই। দেশটির প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামকে দেখিয়েও এসেছিলেন তার কীর্তি।
মনসুখভাইয়ের এ মিট্টিকুল এতদিনে সারা দেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর্থ ডে-তে দাঁড়িয়ে যখন আমরা গ্লোবাল ওয়ার্মিং, বিদ্যুৎ সংরক্ষণের মতো বিষয় নিয়ে কথা বলছি, তখন কীভাবে হাতেকলমে তা করতে হবে তারই একটি উদাহরণ সামনে এনে দিয়েছেন মনসুকভাই। তার মিট্টিকুলের ব্যবহার বাড়লে শুধু খাবার দাবার নয়, পরিবেশও যে উষ্ণতার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে খানিকটা শীতল হবে, তা বলাই যায়।