রাজনীতির খবর: বিগত পাঁচ বছরে প্রায় ৩০০ গুণ আয় বেড়েছে ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে স্ত্রীর আয়। পাঁচ বছরেই সম্পদের ছড়াছড়ি এই প্রার্থীর। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হলফনামা থেকে জানা যায়, কৃষিখাতে আয় ২০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে, ব্যবসায় দুই লাখ ২১ হাজার ৪৬৮ টাকা থেকে বেড়ে নিজ নামে আয় ছয় কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭০০ টাকা, বাড়িভাড়া থেকে আয় ৯ লাখ টাকা, ব্যাংকসুদ থেকে এক লাখ ৪৪ হাজার ২০৮ টাকা, এফডিআর থেকে নিজ নামে সুদ হিসেবে ৯ লাখ ৭৮ হাজার ১২৫ টাকা পর্যন্ত হয়েছে।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্ত্রী বা প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীলদের কোনো আয় ছিল না। এবারের হলফনামায়, বাড়ি বা দোকান ভাড়া থেকে স্ত্রীর নামে পাঁচ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, ব্যাংকসুদ থেকে স্ত্রীর নামে দুই লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৯ টাকা আয় হচ্ছে।
হলফনামা থেকে জানা যায়, অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ছিল নিজ নামে নগদ টাকা পাঁচ লাখ, স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ নিজ নামে তিন কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার, স্ত্রীর নামে দুই লাখ, স্থায়ী আমানতে নিজ নামে বিনিয়োগ না থাকলেও স্ত্রীর নামে ৫০ লাখ টাকা ছিল। নিজের নামে না থাকলেও স্ত্রীর নামে ২৭ লাখ টাকার গাড়ি ছিল। স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষিজমি এক দশমিক ৫০ একর, দশমিক ৩০ একর অকৃষি জমি, স্ত্রীর নামে পাঁচটি অ্যাপার্টমেন্ট ও রামগড়ে বনায়নের জন্য ১৫ একর টিলা ছিল।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, অস্থাবর সম্পদ হিসেবে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ দুই কোটি ১৪ লাখ ২১ হাজার ৪৫৩ টাকা নিজ নামে, স্ত্রীর নামে ৯৮ লাখ ২৭ হাজার ২৬ টাকা, অতালিকাভুক্ত শেয়ার নিজ নামে ৭১ লাখ, স্ত্রীর নামে ৬৮ লাখ টাকা, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ নিজ নামে পাঁচ কোটি ৯৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬৫৮ টাকা, স্ত্রীর নামে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা। স্ত্রীর গাড়ির মূল্য অপরিবর্তিত থাকলেও নিজ নামে যুক্ত হওয়ার গাড়ির মূল্য ৬৫ লাখ টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষিজমি নিজ নামে সাত কোটি কোটি লাখ ৮২ হাজার টাকা মূল্যের ১৯৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ, অকৃষি জমি নিজ নামে পাঁচ কোটি ৩০ লাখ আট হাজার ৩৪০ টাকা মূল্যের ১২৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ, স্ত্রীর নামে এক কোটি ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ২৭৪ দশমিক এক শতাংশ অকৃষি জমি, নিজ নামে ৫০ লাখ টাকা মূল্যের নির্মাণাধীন তিনতলা বাড়ি, স্ত্রীর নামে দুই কোটি টাকা মূল্যের আটতলা নির্মাণাধীন বাড়ি, স্বামী-স্ত্রীর যৌথ অংশীদারিত্বে এক কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, স্ত্রীর নামে এক কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার ২২৫ টাকা মূল্যের তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট, নিজ নামে ২০ লাখ টাকা মূল্যের একটি মৎস্য খামার।
দায় হিসাবে রয়েছে প্রবাসী ভাইয়ের কাছ থেকে ফরেন রেমিটেন্স হিসেবে পাওয়া ৫৭ লাখ ৫ হাজার ৫৭ টাকা।