নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির ২০ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন গত ১২ জানুয়ারি পাঁচ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। কমিটি তড়িঘড়ি করে নির্বাচনী সিডিউল ঘোষনা করে তা নোটিশ বোর্ডে টানিয়েছেন। স্থানীয় পত্র পত্রিকায়ও তা প্রচার করা হয়েছে। এদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২) মজিদ গত ১৫ জানুয়ারি তোজাম্মেল হকের চিঠিতে উল্লেখিত পাঁচজন আইনজীবীকে চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে আসার আহবান জানিয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন জেলা আইনজীবী সমিতির পুরাতন ও সংশোধিত গঠনতন্ত্রের ধারা লংঘন করে সভাপতির সাথে কোনো প্রকার আলোচনা কিংবা পরামর্শ না করে গত ১২ জানুয়ারি কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভা দেখিয়েছেন। সমিতির সভাপতিকে অনুপস্থিত উল্লেখ করে তিনি সহসভাপতি অ্যাড. গোলাম মোস্তফাকে সভাপতিত্ব দেখিয়ে গঠনতন্ত্র পরিপন্থি এই পাতানো সভা ডাকেন। বাস্তবে এমন কোনা বৈঠক না করেই তিনি পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কথিত নির্বাচন কমিশন গঠন করেন’। সভাপতি তার চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন যে এভাবে সভা আহবান এবং কমিশন গঠন করায় সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির ১৪ (গ), ১৪ (ক) বা ১৪ (ক) (২) দফা ভঙ্গ হয়েছে। সমিতির সভাপতি হিসাবে তিনি নির্বাচন কমিশন সদস্যদের নির্বাচন পরিচালনা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন ‘ সভাপতি সভায় উপস্থিত থাকতে অপারগতা প্রকাশ করায় গঠনতান্ত্রিক শুন্যতা এড়াতে সহসভাপতি বৈঠকে সভাপত্ত্বি করেছেন। এ ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্র লংঘনের কোনো সুযোগ নেই। এই কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে’। তবে সমিতির সভাপতি অ্যাড. মজিদ বলেন ‘আমি আইনজীবী সমিতিতে সেদিন উপস্থিত ছিলাম। আমাকে মিটিংয়ের কথা বলাই হয়নি। প্রকৃতপক্ষে কোনো মিটংও সেদিন অনুষ্ঠিত হয়নি। সাধারণ সম্পাদক সাতক্ষীরার আইনজীবী সমিতির কয়েকটি ধারা লংঘন করেছেন এবং ১৮৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরার আইনজীবী সমিতির প্রচলিত ধারাও মানেননি তিনি। গঠনতন্ত্রের আলোক এ কমিশন অবৈধ’। আব্দুল মজিদ আরও বলেন এর বিরুদ্ধে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে চিঠি পাঠাবেন বলে উল্লেখ করেন। সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সংখ্যা ৫৩০ জন। আগামি ২০ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পূর্ব নির্ধারিত দিন। এ অবস্থায় সভাপতি ও সম্পাদকের মধ্যকার এই দ্বন্দ্বে নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সমিতির অন্যান্য সদস্যরা সহ নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালনকারি অ্যাড. আকবর আলী ও অ্যাড. রঘুনাথ ম-ল।
পূর্ববর্তী পোস্ট