বিদেশের খবর: জার্মানির ক্ষমতাসীন দল ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। শুক্রবার অন্যতম বড় শহর হামবুর্গে শুরু হয়েছে দলের শীর্ষ সম্মেলন। এদিন দলের নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন মার্কেল। দলের প্রতিনিধিদের ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হবেন নতুন নেতা। তার হাতেই পড়বে জার্মানির দায়িত্ব।
এর মধ্যদিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে প্রায় দুই দশকের মার্কেল যুগ। মার্কেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় দলীয় নেতৃত্বের জন্য লড়বেন মোট তিনজন। প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই সিডিইউ দলের। দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যানাগ্রেট ক্রাম্প ক্যারেনবোর মার্কেলের অনুগত বলে পরিচিত। আরেকজন আইনজীবী ফ্রেইডরিখ মার্জ মার্কেলের দ্বীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী।
এই দু’জনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তুতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন মার্কেলের শরণার্থী আশ্রয় দেয়ার ঘোর সমালোচক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেমস স্পাহন। খবর এএফপির।
জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে মার্কেল নেতৃত্বাধীন মধ্য-ডানপন্থী ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্র্যাটস (সিডিইউ) বিগত নির্বাচনের চেয়ে অনেক কম ভোট পাওয়ায় অক্টোবর মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে শক্তিশালী এই নেতা তার দলের প্রধান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দেন।
দলের মধ্যে কয়েক বছর ধরে চলা বিশৃঙ্খলা এবং ১০ লাখের বেশি অভিবাসন প্রত্যার্শীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ায় বিতর্কের মধ্যে ২০২১ সালে তার মেয়াদ পূর্ণ হলে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে জানান তিনি। দলীয় সম্মেলনে নেতা নির্বাচনের ভোটাভুটিতে কে নির্বাচিত হচ্ছেন, তার ওপরই নির্ভর করছে মার্কেলের লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়িত হওয়া না হওয়ার বিষয়।
হামবুর্গে দলীয় সম্মেলনে দল থেকে পদত্যাগের আগে বিদায়ী ভাষণ দেন মার্কেল। আবেগঘন বিদায়ী ভাষণে ম্যার্কেল বলেন, আমাদের উদার মূল্যবোধ অবশ্যই অভ্যন্তরীণ ও বহির্গতভাবে রক্ষা করতে হবে। ভাষণ শেষে উপস্থিতদের করতালির পরও ছয় মিনিট মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকেন মার্কেল।
অনুষ্ঠানে মার্কেলের ১৮ বছরের নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় একটি ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে। এতে মার্কেলের নেতৃত্বে দলটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়েছে। ভাষণে তিনি আনারগ্রেট ক্রাম্প-কারেন বোরকে তার উত্তরসূরি হিসেবে সমর্থনের ইঙ্গিত দেন।