দেশের খবর: নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষ না করেই মাঝপথে বের হয়ে গেছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সিইসি কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছেন তারা। এ সময় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন দ্রুত নির্বাচন কমিশন থেকে চলে যান।
বৈঠক বর্জন করে বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সিইসির আচরণ ভদ্রজনিত ছিল না। এ জন্য আমরা সভা বয়কট করেছি। তবে আমরা নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বৈঠক শুরুর দেড় ঘণ্টার মাথায় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বৈঠক শেষ না করেই বের হয়ে হয়ে যান।
ঐক্যফ্রন্টের অপর নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, বৈঠককালে নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ড. কামাল হোসেন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।
তিনি জানান, ড. কামাল হোসেন ‘পুলিশ লাঠিয়াল বাহিনীর মতো আচরণ করছে’ এমন মন্তব্য করলে তার প্রতিবাদ করেন সিইসি। তিনি ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারের একটি বাহিনীকে নিয়ে তিনি এমন কথা বলতে পারেন না। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই পরে সকলে বৈঠক থেকে বের হয়ে আসেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সিইসি কোনো ভদ্রতা সূচিত আচরণ করেননি। আমরা পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার কথা জানালে তিনি কোনো সহানুভূতি না জানিয়েছে হঠাৎ করেই পুলিশের পক্ষেই অবস্থান নেন। তাই আমরা বৈঠক থেকে চলে এসেছি।
ড. কামল হোসেন বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুন্ডা বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করছে। আমাদের প্রার্থীদের জীবনের দাম না থাকলেও কর্মীদের জীবনের দাম রয়েছে। তাদের তো সেভ করতে হবে।
এ সময় সিইসি ক্ষুব্ধ হয়ে ড. কামাল হোসেনকে বলেন, আপনি এমন কী হয়েছেন যে, পুলিশকে লাঠিয়াল-জানোয়ার বলেছেন। নিজেকে কী মনে করেন? তখন মঈন খান সিইসিকে বলেন, নির্বাচনের কোনো পরিবেশ যদি সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে বলে দেন, আমরা আজকেই প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বর্জনের বিষয়ে ঘোষণা দেব।
দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া এ বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনার, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।